টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনিয়া (৩১) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার ভূঞাপুর রেল স্টেশন এলাকা থেকে স্বামী মোস্তাককে (৪৮) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোস্তাক জেলার গোপালপুর উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের মৃত হাজী আজমত আলী ছেলে।
এর আগে গত (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দি জহুরুল ইসলামের ভাড়া বাসায় জান্নাতুল ফেরদৌস মুনিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য তার নিজ বাসার বক্সখাটের নিচে লাশ লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। এ ঘটনায় পরে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন : এডিসি হারুন-সানজিদাকাণ্ড/ তদন্ত শেষ হয়নি, বাড়ল সময়
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তাক আহমেদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। দুই ছেলের একজন তার খালার বাসায় ছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক রুমে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে অন্য রুমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর মরদেহ বক্স খাটের নিচে রেখে পরদিন ভোরে বাসার মুল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান মোস্তাক। সকালে ছেলে ঘুম থেকে উঠে ডাকচিৎকার করলেও আশপাশের কোনো ভাড়াটিয়া এগিয়ে যায়নি। পরে কেয়ারটেকার বাসার দরজা খুলে দেয়।
আরও পড়ুন : Case against Mayor Sadiq Abdullah
এদিকে, মুনিয়া ইসলামের খোঁজ না পেয়ে বাসার বিভিন্ন রুমে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে স্বজনরা। একপর্যায়ে ছোট ছেলেকে খাটের নিচে দেখতে বলে। পরে বক্স খাটের পাতাটন খুলে মুনিয়ার মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বলেন, মামলার ঘটনাটি লোমহর্ষক এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় এসপি স্যারের নির্দেশনায় মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসাসি গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একটি চৌকস টিম প্রচেষ্টা চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্ত্রীকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করার সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply