1. admin@bangla-times.com : admin :
  2. banglatimesnewsbd@gmail.com : Editor :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::

আলু নিয়ে কারসাজি: মূল হোতা পাইকার ও হিমাগার মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক 
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলুর বাজারে অস্থিরতা। আর এর পিছনে রয়েছে সিন্ডিকেট। আলু ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কথা থাকলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১০ থেকে ১২ টাকা বেশিতে। যার প্রমাণ মিললো মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান বলেন, হিমাগার মালিকরা প্রতি কেজি আলুতে মুনাফা করছে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। তবে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হিমাগার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রি করা হবে।

আরও পড়ুন : নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু-পেঁয়াজ-ডিম

আলুতে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এরই মধ্যে ৬০ লাখ টাকা লাভ তুলেছেন মুন্সীগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রস রাজ। মুক্তারপুরের রিভার ভিও হিমাগারে এখনও ১০ হাজার বস্তা আলু আছে তার। বর্তমানে সংকট না থাকলেও দেড় মাস আগে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা আলুই এখন তিনি বাজারে দিচ্ছেন ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়।

কোল্ডস্টোরেজ বা হিমাগার থেকেই কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে আলুর দর। যার প্রভাব পড়ছে সারাদেশের খুচরা বাজারগুলোতে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান।

হিমাগারের পরিস্থিতি দেখতে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে গিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানালেন, আলুর দাম নিয়ে কারসাজির মূল হোতা পাইকারি ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা।

আরও পড়ুন : পেঁয়াজের দর নির্ধারণ করে দিলো সরকার, কেজি ৬৫ টাকা

তিনি বলেন, হিমাগার মালিকরা প্রতি কেজি আলুতে মুনাফা করছে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫৩ পয়সা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, উৎপাদন খরচের সাথে পরিবহন খরচ ও মুনাফা যোগ করলে হিমাগার পর্যায় থেকে আলুর দাম কোনোভাবেই ২৭ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। একইসাথে খুচরা পর্যায়েও ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার বেশি বিক্রি করা হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন হিমাগার সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের ৬৩টি হিমাগারে সাড়ে ৩ লাখ টনের কিছু বেশি আলু মজুত আছে। রোববার থেকে সেখানে ২৭ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রি হবে। এতে আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নোটিশ :