1. admin@bangla-times.com : admin :
  2. banglatimesnewsbd@gmail.com : Editor :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::

দেশকে ভালোবেসেও ফিরতে চান না দেশে

হামিম আক্তার আলো, লন্ডন থেকে
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

উন্নত জীবনের খোঁজে প্রবাসে পারি জমান অনেকেই। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশের ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ প্রবাসে থাকে। প্রবাসে পাড়ি দেওয়া অভিবাসী সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও প্রবাসে থাকা অনেকেই আর নিজ দেশে ফিরতে চান না।

এর কারণ বাংলাদেশে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা খুবই কম। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিশেষ মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে নানান হয়রানী ও জটিলতার স্বীকার হতে হয়। দিন দিন আমাদের বয়স বাড়ছে। মানুষ শেষ বয়সে সু-চিকিৎসা পেতে চায়। মেডিকেল সাপোর্ট পেতে চায়। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে রন্ধে রন্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশে আমরা ইনকাম টেক্স, শুল্ক টেক্স, টোল টেক্সসহ নানান রকমের টেক্স সরকারকে প্রদান করে থাকি। বিনিময়ে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুবিধা-ই পাই না। অথচ আমরা ইংল্যান্ড বা ইউরোপ, আমেরিকায় শুধুমাত্র ইনকাম টাক্স প্রদান করার কারণে নানান সুবিধা পেয়ে থাকি। দৈনন্দিন জীবনের আমরা প্রবাসে আমাদের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যাপক সুবিধা পেয়ে থাকি। প্রবাসে আমাদের শিশুদের শিক্ষার রয়েছে অনেক সুবিধা। যে কোন অসুস্থতায় খুব দ্রুত সময়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থাকলেও দুর্নীতির কারনে কোন সেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাসাদ, হাউস অফ পার্লামেন্ট-বাংলা টাইমস

বিশেষ করে বাংলাদেশে আমাদের রয়েছে বাকস্বাধীনতার অভাব। দেশে সমালোচনা করলে গুম, খুনের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। যে কোন বিষয়ে সমালোচনা করলে অথবা ভিন্নমত প্রকাশ করলে সরকারী পুলিশ বাহিনী মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেন। অথচ সরকারের জানা উচিৎ, সমালোচনার মাধ্যমেই নিজের ভুলগুলোকে নির্ধারন ও সংশোধন করা সম্ভব। ইংল্যান্ডে শিশুদের রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। যে কোন সমস্যায় প্রশাসনকে ফোন দিলে খুবই কম সময়ে তা সমাধান করে দেয়। কোন প্রকার ঘুষ লেনদেন ছাড়া সকল কাজ মুহুর্তেই করা যায়। এবং প্রশাসন যে কোন সংকটে সমস্যা সমাধানের পরেও ফোন করে বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেয়। নারী, শিশু, এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর। এমন কখনো হয় নি যে, কোন লোক বৃদ্ধ বয়সে অবহেলায় রাস্তায় পরে আছে। আজ আমরা খুব নিরাপদ। আমাদের সন্তানরা খুব নিরাপদ। আমাদের চিন্তা করতে হয় না ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানেরা কোন পথে হাটছে। কেননা ইংল্যান্ডে আমাদের শিশুদেরকে পড়াশুনার পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

দিন শেষে আমাদের শিশুরা পরিশ্রমি মানুষিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। আমরা ভালো আছি। পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয় না। আমরা মনে করি দেশের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। নিজের দেশ, নিজের মাতৃভূমি, এবং মাতৃভাষাকে সবসময় খুব মিস করি। আমাদের দেশ থেকে দুর্নিতি নামক অভিশাপটি মুছে গেলেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দেশকে আমার মতোই ভালোবাসবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নোটিশ :