1. admin@bangla-times.com : admin :
  2. banglatimesnewsbd@gmail.com : Editor :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::

দু:শ্চিন্তায় দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি যোদ্ধারা

শাহ জালাল, বরিশাল
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মৌসুম জুড়ে বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরে গত মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮০ ভাগ বেশী বৃষ্টির পরে ভাদ্রের শেষ ভাগের বড় অমাবস্যা নিয়ে মারাত্মক দুঃশ্চিন্তায় আছেন বরিশাল কৃষি অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি খরিপ-২ মৌসুমে এই অঞ্চলে প্রায় ৮.৭০ লাখ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের মাধ্যমে ২২ লাখ ৮ হাজার টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে এখনো মাঠে কৃষি যোদ্ধারা কাজ করছেন।

ইতোমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫% ভাগ জমিতে রোপা আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর-ডিএই জানিয়েছে। পুরো ভাদ্র মাস শেষে আশ্বিনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপা আমনের আবাদ চলে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে। আসন্ন অমাবস্যার সাথে অসময়ের অস্বাভাবিক তাপ প্রবাহ এই অঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের জন্য বাড়তি বিরূপ পরিস্থিতি তৈরী করছে। গত কয়েকদিন ধরেই বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে রয়েছে।

আরও পড়ুন : মোবাইল কোম্পানির কাছে সরকারের বকেয়া ৭৬৯২ কোটি টাকা

গত মাসের প্রথমভাগে শ্রাবণের অমাবস্যায় ভর করে একটি লঘু চাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগর ও উজানের ঢলের পানিতে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের আমন বীজতলা ও রোপা আমন ছাড়াও আধা পাকা আউশ ধানের প্রায় পুরোটাই প্লাবিত হয়েছিল। তবে সাগর দ্রুত শান্ত হয়ে উজানের পানি গ্রহন করে নেয়ায় নদ-নদী স্বাভাবিক ধারায় ফিরলেও প্রবল বর্ষণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পুরো সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। ফলে জুলাই মাসে যেখানে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৮% কম, সেখানে আগস্টে তা ৮০% বেশী হয়েছিল। গত মাসে বরিশালে স্বাভবাবিক ৪৩৩ মিলিমিটারের স্থলে ৭৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

আরও পড়ুন : ফসলের আবাদ-উৎপাদন বাড়াতে ১৮৮ কোটি টাকার প্রণোদনা

চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ৩১৬ মিলিমিটারের স্থলে ২৮৫ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কথা বলা হলেও মাসের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ৮৫ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ভাদ্রের শেষ দিনেই অমাবস্যার শুরু হবে বিধায় এই অঞ্চলের কৃষকরা যথেষ্ট শংকিত। বিগত ৩টি বছরই ভাদ্রের অমাবস্যার প্রবল বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারের পানিতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের আমন ফসলী ডুবে যায়। ফলে ব্যাপক ক্ষতির কবলে পড়েন কৃষকরা।

অতীতের ক্ষত মাথায় রেখেই এখন শংকিত বরিশাল কৃষি অঞ্চলের কৃষকরা। প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা এখনো সম্পূর্ণভাবেই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। পুরো মৌসুম জুড়েই বৃষ্টির অভাবে খরিপ-১ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম ১ লাখ ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ৯২% আউশ ধানের কর্তন সম্ভব হলেও শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে প্লাবিত হয়ে আউশের উৎপাদন যথেষ্ট ব্যহত হবার আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ১.৫৭ লাখ হেক্টও জমির আউশ কর্তন হয়েছে। তাতে সদস্য সমাপ্ত খরিপ-১ মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।

সাথে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন নিয়েও শংকায় কৃষকরা। তবে ডিএইর দায়িত্বশীল মহল আউশের সামান্য ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও আমন নিয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের মতে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আসন্ন অমাবস্যায় প্রবল বৃষ্টি হলেও যে কোন ক্ষতি পূনর্বাসনের প্রস্তুতি রয়েছে মাঠ পর্যায়ে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নোটিশ :