1. admin@bangla-times.com : admin :
  2. banglatimesnewsbd@gmail.com : Editor :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::

গুলি করে চাচা-ভাতিজাকে হত্যা: ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

চার বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দায় গুলিতে চাচা রওশন মিয়া ও তার ভাতিজা মিরাজুল ইসলাম তুহিন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২০ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

একইসঙ্গে অপর দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ায় ছয়জনের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-হানিফ ওরফে হৃদয়, কাইয়ুম মিয়া ও এনামুল হাসান মিয়া। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে আসামি আউয়াল মোল্লা ও রেজাউল মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পারভেজ মিয়া, হাফিজুর রহমান ওরফে তুষার মিয়া, তুহিন মিয়া, রবিউল ইসলাম ওরফে মশিউর মিয়া, এম রাজু আহমদ ওরফে কোরবান মিয়া ও শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মিয়া।

রায়ে বলা হয়েছে, আসামি দুলাল মিয়ার দুই ধারায় ১০ বছর ও সাত বছর করে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একত্রে চলবে। পাশাপাশি দুই ধারায় মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আসামি রিকুল ইসলাম ওরফে রবিন শিকদারের এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি পাঁচু মিয়ার তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা ভোগ করতে হবে।

এ মামলার ১৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামির মধ্যে আসাদুজ্জামান নামের এক আসামি মারা গেছেন। এ মামলায় আসামি পাঁচু মিয়া, রাজু ও রবিউল কারাগারে রয়েছে। মামলার শুরু থেকে আসামি এনামুল, পারভেজ, হাফিজুর, তুহিন ও শহিদুল পলাতক রয়েছে। এছাড়া জামিনে গিয়ে আসামি হৃদয়, রেজাউল, কাইয়ুম, রবিন, দুলাল ও হাবিবুর পলাতক রয়েছে।

২০১৯ সালের ১০ আগস্ট ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার মধ্যকাইচাইল মাদ্রাসা মসজিদে নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যন্যরা আসরের নামায শেষে বের হয়ে মাদ্রাসা মাঠে আসেন। সেখানে পূর্বকল্পিতভাবে আসামি আউয়াল মোল্লা ও হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্য আসামিরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আসামি আউয়াল মোল্লার হুকুমে আসামি হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্যন্য আসামিরা তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও শর্টগান দিয়ে উপর্যুপুরি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন গোলাম রসুল বিপ্লব, গোলাম মাওলাসহ আরও ৭/৮ জন। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল-১ এ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল- ০৪ এ বদলি করা হয়। মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। গত ৩ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

নিহত রওশনের ছেলে গোলাম রসুল বিপ্লব  বলেন, ‘এ মামলায় রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নোটিশ :