1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
খুলনা সিটি ভোট/ প্রতীক পেলেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা - বাংলা টাইমস
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০১:৫২ অপরাহ্ন

খুলনা সিটি ভোট/ প্রতীক পেলেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩
  • ৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

খুলনা সিটি কপোরেশন নির্বাচনের চার মেয়রপ্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মে০ সকাল সাড়ে ৯টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন খুলনা নির্বাচন অফিসের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন।

 

আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করার জন্য মেয়রপদে সাত জন, কাউন্সিলরপদে ১৫৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরপদে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে চার মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়। আপিলে একজন বৈধতা পান। সাধারণ কাউন্সিলরপদে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে অবৈধ হয়। আপিলে চার জন বৈধতা পান। আর প্রত্যাহার করেন ১২ জন। সংরক্ষিত আসনে দুইজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়। আপিলে দুজনই বৈধতা পান। ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ১৭৯ জন। এরমধ্যে মেয়রপদে ৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলরপদে ৩৯ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরপদে ১৩৬ জন।

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে নেমে দুইবার জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেকের বিপক্ষে এবার দৃশ্যত শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। এ কারণে ভোট নিয়ে অন্য মহানগরের মত এখানে উৎসাহ উদ্দীপনা কম। তবে ভোট প্রার্থনায় কাউন্সিলরপ্রার্থীরাই বেশি ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিকপ্রার্থী।

মেয়রপদে না থাকলেও বিএনপি-জামায়াতের ১২ কাউন্সিলরপ্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতায় রয়েছেন। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় পরও এসব প্রার্থীদের নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি ও জামায়াত। পাড়া-মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠকের পাশাপাশি ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন তারা। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

ওয়ার্ডপর্যায়ে আওয়ামী লীগের একাধিকপ্রার্থীর বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ১৯, ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দল থেকে তিন নেতাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রয়েছে। এখানে একাধিক নেতা প্রার্থী হলেও দলের আপত্তি নেই।

শুক্রবার মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক দৌলতপুর, নিউমার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ যে রায় দেবে, আমরা সেই রায় মেনে নেব। গাজীপুরে জনগণ যে রায় দিয়েছে, তা আমরা মেনে নিয়েছি। এরআগেও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমি পরাজিত হয়েছিলাম, তা মেনে নিয়েই এ অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছি।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন কাউন্সিলরপ্রার্থী এবং ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদের (বিকু) কর্মি-সমর্থকরা। তারা জানান, বিকু খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সদস্য। গতবারই প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী হিসেবে তাদের পরিবারের সুনাম রয়েছে। বিকুর পাশাপাশি এ ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা অহিদুল ইসলাম পলাশ। তবে স্থানীয়রা জানান, এই দুইজনের কেউই তার শক্ত প্রতিদ্বদ্বী নন।

খুলনার রূপসা নদীর উত্তর ও পূর্বে এই ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে নতুনবাজার লঞ্চঘাট, কাস্টমস ঘাট, রূপসা ঘাট, খুলনা জিলা স্কুল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, খুলনা টাউন জামে মসজিদ, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কার্যালয়, খুলনা ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, আযমখান সরকারি কমার্স কলেজ, সরকারি মডেল স্কুল, খুলনা পঙ্গু হাসপাতাল, খুলনা পুলিশ লাইনস, খুলনা পরিসংখ্যান অফিসসহ রয়েছে বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ডটির জনসংখ্যা ২৫ হাজারের মতো। ভোটার রয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার।

কাউন্সিলরপ্রার্থী বিকু বলেন, ওয়ার্ডের প্রায় সব জায়গায় ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়না। মশার উপদ্রব এবং বংশবিস্তার রোধে সপ্তাহে অন্তত দুইবার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। একসময় এ ওয়ার্ডে মাদকের ব্যাপক বিস্তার হয়েছিল, এখন সেটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।

বিকু আরও বলেন, আমরা সুপেয় পানির জন্য গভীর নলক‚প স্থাপন করছি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলক‚পগুলো কাজ করছে না। এ কারণে গত দুইবছর শুষ্ক মৌসুমে মানুষের কিছুটা কষ্ট বেড়েছে। তবে পুনরায় নির্বাচিত হলে পানির সমস্যা নিরসন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, গত সাড়ে ৪ বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে; ৩৩ বছরেও তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী খুলনার জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। করোনার কারণে দুইবছর কাজ বন্ধ ছিল। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় অনেক কাজে ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। এসব সমস্যা নিয়েই ৩১ ওয়ার্ডেই উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে সব ওয়ার্ডের কাজ শেষ করব।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৪৫ বর্গকিলোমিটারের নগরে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। ১৬ লাখের উপরে বসতি থাকলেও বর্তমানে ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪০ জন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট