1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
'মার্কিন নতুন ভিসানীতি বিএনপির দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন' - বাংলা টাইমস
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

‘মার্কিন নতুন ভিসানীতি বিএনপির দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন’

নিজস্ব প্রতিবেদক 
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ৩৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন ভিসানীতিতে বিএনপির উত্থাপিত দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দেওয়া নতুন এ ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে গত ৩ মে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে আমরা তা অবহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, উক্ত ভিসানীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজনের সব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এবং ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রিয় জনগণ দীর্ঘদিন যে দাবি জানিয়ে আসছিল, পরিবর্তিত মার্কিন ভিসানীতিতে তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে কোনোভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। কেবল একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে তা সম্ভব। আর সে কারণে বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিকে নিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, এই পরিবর্তিত মার্কিন ভিসা নীতিতে শুধু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আওতাভুক্ত করা হয়নি, সুনির্দিষ্টভাবে বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবল, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ, যে বা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চেষ্টা করবে তাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আবার দাবি করি অনির্বাচিত এই ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে এবং বিদেশে তার ‘প্রত্যাখ্যাত অবস্থাকে’ অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সব মহলের দাবি ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা জাতীয় সংকট থেকে মুক্তিলাভের এটাই একমাত্র পথ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট