বাংলাদেশ রেলওয়েতে গেটকিপার/গেটম্যান পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন পাবেন ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা স্কেলে। সাধারণত সরকারি চাকরিগুলোতে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ থাকলেও এই নিয়োগ কার্যক্রমে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ছকে আবেদন পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (https://railway.gov.bd)
কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
♦ আবেদনকারীদের আবশ্যিকভাবে কমপক্ষে ২ বছর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্পে গেটকিপার/গেটম্যান হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের মাধ্যমে চাকরিকালীন নিরবচ্ছিন্ন হতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সনদ এবং যথাযথ প্রমাণ দাখিল করতে হবে, যা মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব/পশ্চিম), বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে, অন্যথায় আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে
♦ সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। তবে রেলওয়ের প্রকল্পে গেটকিপার/গেটম্যান হিসেবে কমপক্ষে ২ বছর চাকরির/কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য।
বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়
সব আবেদনের ক্ষেত্রে ধারা ‘ক’-এর শর্ত প্রযোজ্য হবে।
♦ প্রার্থীদের স্বহস্তে নির্দিষ্ট আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (www.railway.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
♦ প্রার্থীদের সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদনপত্র পূরণের সময় যথাযথ ঘরে টিকচিহ্ন দিতে হবে
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তি ছাড়পত্রের মূলকপি জমা দিতে হবে।
♦ নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান ও কোটাপদ্ধতি এবং পরবর্তী সময়ে এসংক্রান্ত বিধি-বিধানে কোনো সংশোধন হলে তা অনুসরণযোগ্য হবে
♦ আবেদনের সময় প্রার্থীর সব সনদপত্রের এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। এ ছাড়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণক হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি এবং আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা অথবা পুত্র/কন্যার পুত্র/কন্যা হলে প্রমাণকের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা এবং পুত্র/কন্যার পুত্র/কন্যা মর্মে প্রদত্ত সনদের মূলকপি জমা দিতে হবে। মহিলা কোটা ব্যতীত অন্যান্য কোটার দাবির সমর্থনে যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত সনদ/প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সব সনদপত্রের এক সেট মূলকপি মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রার্থী রেলওয়ে কর্মচারীর পোষ্য [বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী পদে অন্যূন ২০ বছর চাকরি সম্পন্ন হয়েছে এরূপ কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত (জীবিত বা মৃত) কর্মচারীর সন্তান ও বিধবা স্ত্রী পোষ্য হিসেবে গণ্য হবে] হলে আবেদনের সময় নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। পোষ্যসংক্রান্ত আবেদন ফরম বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (www.railway.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
♦আবেদনের সঙ্গে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুকূলে ‘এ চালান’ পদ্ধতিতে নম্বর ১৫১০৩০১১৩২২৬৭-১১০০০০০০০-১১০০১০০০-১৪২২৩২৬ কোডে কোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা প্রদান করা যাবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে চালানের মূলকপি সংযুক্ত করতে হবে। চালানের মূলকপি ব্যতীত কোনো আবেদনপত্র বৈধ বলে গণ্য করা হবে না।
♦ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞপ্তি বাতিল/সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
♦ নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
♦ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।
♦ পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
♦ আবেদনকারী কর্তৃক স্বহস্তে পূরণকৃত আবেদনপত্র ১৪/০৫/২০২৩ থেকে ৩১/০৫/২০২৩ তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা স্বহস্তে [বেনু রঞ্জন সরকার, প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (টেলিকম) এবং আহ্বায়ক বিভাগীয় নির্বাচন কমিটি, কক্ষ নম্বর ৬০১, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলভবন, ঢাকা অথবা মো. ময়েনুল ইসলাম, উপপ্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সদস্যসচিব, বিভাগীয় নির্বাচন কমিটি, কক্ষ নম্বর ৩০৪, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলভবন, ঢাকা] বরাবর প্রেরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখের পর কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
♦ আবেদনপত্র পাঠানোর সময় খামের বাঁ দিকের ওপরের অংশে পদের নাম ও প্রার্থীর জেলার নাম স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত সব তথ্য রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
♦ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও ফরম : https://railway.gov.bd প্রার্থীদের প্রতি রেলওয়ের সতর্কতা
প্রতারকদের ব্যাপারে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই দালাল বা প্রতারকরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
‘বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করা হয়। তাই দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। ’
গেটকিপারের কাজ কী
পদের নাম থেকেই কাজ বা দায়িত্বের ব্যাপারে আন্দাজ করা যায়। গেটকিপার বা গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হয় মাঠ পর্যায়ে। যান চলাচলের সড়কের ওপর দিয়ে যেসব জায়গায় রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে দুর্ঘটনা এড়াতে গেটও দেওয়া আছে। যখন ট্রেন ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হয়, এর কিছুক্ষণ আগে সড়কের গেটটি নামিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সাধারণ যানবাহন বা পথচারীরা রেললাইনের ওপর দিয়ে দুদিক থেকে চলাচল না করেন। এই কাজটিই মূলত গেটকিপারের কাজ। অনেকটা ট্রাফিকের মতোই ভূমিকা পালন করেন এই পদের কর্মীরা। এসব গেট বা ব্লকে সাধারণত দিনে ও রাতে (২৪ ঘণ্টায়) পালা করে তিনজন দায়িত্ব পালন করেন। একেকজন প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালন করেন।
এই শিফটের সময় সাধারণত সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা ও রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। ক্ষেত্রবিশেষে এই সূচির পরিবর্তনও হতে পারে।
Leave a Reply