1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ - বাংলা টাইমস
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৩:২১ অপরাহ্ন

‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক থেকে
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ১৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ফেব্রুয়ারী ২০২৩-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ব্যানার কিছু সময়ের জন্যে অনেকের চোখে পড়েছে, এবং তা নিয়ে কিছুটা আলোচনাও হয়। ব্যানারে লেখা ছিলো ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ!’ ঘটনা হচ্ছে, বাংলা একাডেমী এবার বইমেলায় কিছু বই ও প্রকাশনা সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে, অভিযোগ এঁরা সরকারের সমালোচক। এর প্রতিবাদে ভার্সিটি শিক্ষার্থীরা, বিশেষত: চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা রবীন্দ্রনাথের একটি প্রতিবাদী ভাস্কর্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করে। এতে কবিগুরুর মুখ ‘টেপ বন্ধ’ এবং তাঁর হাতের গীতাঞ্জলীটি একটি পেরেক দিয়ে ঠোকা ছিলো। ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সেটি ভেঙ্গে দ্রুত সরিয়ে নেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ঐ জায়গায় ব্যানারটি টাঙ্গিয়ে দেয়!

কবিগুরুর ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩, তিনি গুম হ’ন ১৬ই, মাত্র ৪৮ ঘন্টায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনার তাৎপর্য যথেষ্ট। এটি ষাটের দশকে ‘রবীন্দ্র-বর্জন’ ডাক প্রতিহত করতে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পূর্ব-বাংলায় রবীন্দ্রনাথ তখনো সমাদৃত, পাকিস্তানী প্রশাসন পিছু হটে। তখন সবার মুখে মুখে ছিলো গভর্নর মোনায়েম খানের একটি কথা, ‘তোমরা রবীন্দ্রসংগীত লিখতে পারোনা’? খানসাহেব নাকি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে ছাত্রদের একথা বলেছিলেন। ষাটের দশকের ওই সময় স্কুলে আমাদের ক্লাশে বাংলা শিক্ষক কিছুতেই এক ছাত্রকে পাশ মার্ক দেননি, কারণ ছাত্রটি ‘রবীন্দ্রনাথ’ বানান ভুল লিখেছিলো! শিক্ষকের যুক্তি ছিলো যে ছাত্র ‘কবিগুরু’র নাম শুদ্ধ করে লিখতে জানেনা, তাঁর পাশ করার যোগ্যতা নেই!


সত্যি বলতে কি, যৌবনে রবীন্দ্রসঙ্গীত আমাদেরও ‘পানসে’ মনে হতো, তখন তো ছিলো শুধু ট্রাঞ্জিষ্টার, আমরা নব ঘুরিয়ে আকাশবাণীর আধুনিক প্রেমের গান শুনতাম। তবে, ‘সখি ভালবাসা কারে কয়’ নিয়ে উৎসাহ ছিলো বটে। আবার হৃদমাঝারে গাঁথা ছিলো, ‘তুমি মহারাজ সাঁধু হলে আজ…’ অথবা ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করিলো সে মরে নাই—’। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমি অজ্ঞ, শুধু ভাবি এক জীবনে তিনি এত্তোসব লিখলেন কখন, যা পড়তেই আমাদের পুনর্জন্ম দরকার! বঙ্গভাণ্ডারে তিনি যে অমূল্য সম্পদ রেখে গেছেন, তা সম্ভবত: ‘হিউম্যানলি ইম্পসিবল’, তাই মনে হয় তিনি হয়তো মানুষের চেয়ে বড়কিছু ছিলেন, হয়তো ‘ঈশ্বরের বরপুত্র’!

রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কথা বলার সাহস বা ধৃষ্টতা আমার নেই? কবিগুরু এক জীবনে যা লিখেছেন তা পড়তে আমাদের পুনর্জন্ম লাগবে। ষাটের দশকের স্কুলে আমাদের ক্লাশে বাংলা শিক্ষক কিছুতেই এক ছাত্রকে পাশ মার্ক দেননি, কারণ ছাত্রটি ‘রবীন্দ্রনাথ’ বানান ভুল লিখেছিলো! শিক্ষকের যুক্তি ছিলো যে ছাত্র ‘কবিগুরু’র নাম শুদ্ধ করে লিখতে জানেনা, তাঁর পাশ করার যোগ্যতা নেই! আমার কাছে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ একই সেক্সপিয়ার, শেলী, বায়রন, কিট্স্ আরো অনেকে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর হাতের ছোঁয়া লাগেনি, এমন একটি শাখা দেখিনা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট