বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, ‘দেশের সাংবাদিকের সংখ্যা জানতে ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ডাটাবেজের কাজ শেষ হলে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন এবং অপসাংবাদিকতা রোধ হবে।’
রোববার (১৪ মে) সিলেট সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হলে সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে প্রেস কাউন্সিল ও সিলেট জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন একটি শক্তিশালী আইন। এটি জনগণ সরকারের উপর প্রয়োগ করে থাকে। সাংবাদিকরা এ আইনের মাধ্যমে যে কোন অফিস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।’
সাংবাদিকদের মর্যাদার লড়াইয়ে প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রমকে জোরালো করতে এ প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন বিচারপতি নাসিম। তিনি বলেন, ‘প্রকাশিত যে কোনো সংবাদে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রেস কাউন্সিলে মামলা করতে পারেন, সে সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, সাংবাদিকদের হেনস্তা করতে অনেকে থানা ও আদালতের আশ্রয় নেন। এতে সাংবাদিকদের সামাজিক, মানসিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ানো গেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
সংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৭৪ সালে যখন বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল আইন করেছিলেন, তখন অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সম্মানের কথা বিবেচনায় নিয়ে কারও সমালোচনায় কান দেননি। সাংবাদিকরা ন্যায় এবং দেশের উন্নয়নের কথা বললে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
কনফারেন্স ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. মাসুদ খান, সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন, সিলেট তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সালাহ উদ্দিন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ হান্নান, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি হাসিনা আহমেদ, অনলাইন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমেদ প্রমুখ।
Leave a Reply