ফরিদপুরের সালথায় মিলাদ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে দুই ভাইকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ঐ দুই ভাই বর্তমানে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগোলদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুই ভাই তুগোলদিয়া গ্রামের কুদ্দুস মাতুব্বরের ছেলে মো: সানোয়ার হোসেন (২৬) ও মিজান মাতুব্বর (৩০)।
আহত মো: সানোয়ার হোসেন ও মিজান মাতুব্বর জানায়, হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের সমর্থক। অপরদিকে আহতরা স্থানীয় নুর মোহাম্মদ তোতা মিয়ার সমর্থক।
শুক্রবারে তাদের নবনির্মিত ঘরের মিলাদ উপলক্ষে মহল্লাবাসীকে দাওয়াত দিলে হামলাকারীরা তাদের দেওয়া দাওয়াত ফিরিয়ে দিয়ে বলে আমরা বিপক্ষের বাড়ীতে দাওয়াত খাই না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে আহত মিজানের স্ত্রী রুশিদা বেগম বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
অভিযোগে তিনি বলেন, বিবাদীদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ ও মনোমানিল্য চলিতেছিল। ঘটনার দিন রাত অনুমান ৮ টার দিকে এজারে বণিত ব্যক্তিরা দেশীয় তৈরী রামদা, ছ্যানদা, লোহার হাতুরী, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতাবন্ধে অনাধিকার আমাদের বসত বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া আমার স্বামী মোঃ মিজান মাতুব্বর (৪০) এর নাম ধরিয়া অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার স্বামী বৈদুতিক লাইট জালাইয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া আসামীদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা আমার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকেসহ আমার স্বামী ও তাহার ভাইকে মারধর করে। আমাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদেরকে চিকিৎসার জন্য নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদীক বলেন, যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে এবং তারা যদি আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তাহলে অবশ্যই ঐ অভিযোগের পেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply