1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় - বাংলা টাইমস
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:১৮ অপরাহ্ন

প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
  • ৯৬৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ফরিদপুর সালথায় উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ড্রেজার ও ভেক্যু মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাদশা নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাদশা উপজেলা সদরের হাট সালথার লাল মিয়ার ছেলে।

 

জানা যায়, বাদশা পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। ইলেকট্রিক কাজের পাশাপাশি বর্তমানে তাকে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভেক্যু ও ড্রেজার মালিকদের কাছে অবাধ যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে বাজার সংলগ্ন ইজারা পাড়ায় গিয়েও একই ঘটনা জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় স্থানীয় সাগর মোল্যা নামক এক ব্যক্তি ফসলি জমি ধ্বংস করে নাছির, রিয়াদ ও আলেম নামক তিনজনকে দিয়ে একাধিক ড্রেজার বসিয়ে নিয়মিত বালু উত্তোলন পূর্বক অবৈধ ভাবে ভেক্যু দিয়ে কেটে অবৈধ ট্রলি গাড়ীতে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। আর এ কাজে বাদশা নামক উক্ত ব্যক্তি প্রশাসনিক বিষয়ে অভয় দিয়ে উক্ত কাজে সহযোগিতা করছে। বাদশার অভয় পেয়ে ড্রেজার মালিকরা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। খরা কাটিয়ে যেন চলছে বসন্তকাল। ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে জানা যায় তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য বাদশা নামক উক্ত ব্যক্তিকে টাকা প্রদান করছে।

একই ভাবে ভূমি দস্যূরা তাদের নিয়মিত কর্মকান্ড পরিচালনা করেই যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন দিন দিন ফসলি জমি ও সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাঁচা পাকা সড়ক ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে একটি মহল নিয়মিত নিজেদের স্বার্থ হাসিল পূর্বক দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শণ করেই যাচ্ছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় নেতৃত্বে স্থানীয় ২/১জনকে ম্যানেজ করে তাদের এহেন গর্হিত কাজ চালিয়েই যাচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সালথার বিভিন্ন এলাকায় এমনকি উপজেলার সামনে দিয়েও নিয়মিত অবৈধ ট্রলি গাড়ী অবাধে চলাচল করছে। প্রশাসন দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। তবে ট্রলি গাড়ীর চলাচল দিনের চেয়ে রাতে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সহকারী কশিনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী বাংলা টাইমসকে বলেন, সালথা উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে মাটি/বালু উত্তোলনের বিষয়ে “জিরো টলারেন্স” নীতি অবলম্বন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় যখনই আমরা সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাচ্ছি, তখনই অভিযান পরিচালনা করছি। যথারীতি এ বিষয়েও দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার (পিএএ) বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। যদি আমার প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট