নড়াইলে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কে›ন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রামের মধ্যে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের পুলিশ উদ্বার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরে পুলিশ সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে।
শনিবার (১এপ্রিল) নড়াইল সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আলোকদিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদের মসজিদ কমিটির সভাপতির অনুমতি ব্যতিত কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার মসজিদের দুটি পুরাতন সিলিং ফ্যান চার থেকে পাঁচ দিন আগে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্য কার নির্দেশে কেন সিলিং ফ্যান বিক্রি করা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ আমিনুরের কাছে জানতে চান এবং সেই টাকার হিসাব দিতে বলেন। আমিনুর তেমন কোনো সন্তুষ্ট জনক উত্তর দিতে না পারায় সভাপতির সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এঘটনার জের ধরে তারাবির নামাজের পর রাত ৯টার দিকে একপর্যায়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সমর্থিত শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া ও কোষাধ্যক্ষ সমর্থিত মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা দুই গ্রামবাসীর মধ্যে লাঠি সোটা ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় আহতরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন (৩২), ছিরু মোল্যা (৪৫) ও রিয়াদ মোল্যা (১৫) শরিফুল সিকদার (৩০),তরিকুল মোল্যা (৩২) ও ভুট্টো সিকদার (৫০)। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠান এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন,সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের মৃত আবুল সিকদারের ছেলে ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার, আলোকদিয়া গ্রামের মৃত নিছার উদ্দিন মোল্যার ছেলে ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, ইউনুচ মোল্যার ছেলে লিয়াকত মোল্যা ও আবুজার মোল্যার ছেলে মাবিবর হোসেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুল হক বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আবু দাউদ মোল্যার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীদের ঠেকিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নড়াইর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
Leave a Reply