ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া জলমহালের পাড়ে থাকা অস্থায়ী খলাঘর এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৫/২০ জনের মুখোশপড়া একটি ডাকাতের দল জেলেদের মারধর করে বেঁধে নগদ এক লাখ ২৪ হাজার টাকা,পাঁচমণ শুকটি মাছ, একটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১২টি গরু ডাকাতরা নিয়ে যায়। এদিকে ডাকাতি হওয়া ১১টি গরু উদ্ধার করেছেছ পুলিশ।

গত শুক্রবার রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক সাহাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ওই জলমহালটিতে মাছ আহরণের কাজে নিয়োজিত জেলেদের সর্দার বাদল দাস (৪০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি ডাকাতির মামলাটি করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া জলমহালটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। এই জলমহালটি ওই ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল বারী চৌধুরী বাচ্ছু সেখানে পাহারাদার নিয়োগসহ যাবতীয় কার্যক্রম তিনি পরিচালনা করিয়া আসছেন। জলমহালটি থেকে ফিসিংকৃত মাছের বিক্রিত মুল্যের শতকরা ২৫ টাকা জেলেদের দেওয়ার শর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক সাহাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সর্দার বাদল দাসের (৪০) সঙ্গে জলমহালটির পরিচালক রফিকুল বারী চৌধুরী বাচ্ছু চুক্তি করেন। বাদল দাসের নেতৃত্বে সেখানে নারী পুরুষসহ ১৮ জনের একটি জেলে দল প্রায় ছয়মাস আগে নিয়ে আসেন। তারা নিজেদের বসবাসের জন্য সেখানে পাঁচটি খলাঘর ও একটি গরুর ঘর নির্মাণ করেন। ফিসিং শেষ পর্যায়ে চলে আসায় চারজন জেলে সেখান থেকে নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১৫/২০জনের একটি মুখোশদারী ডাকাতদল দা,রামদা,চুরি,লোহার পাইপ ও বাঁশের লাঠি নিয়ে রাত তিনটা পর্যন্ত ধানকুনিয়া জলমহালের খলাঘর এলাকায় ঢুকে জেলে সর্দারসহ ১৪ জনের হাত রশি দিয়ে বেধে ফেলে মারধর শুরু করে। এ সময় ডাকাতেরা খলাঘরে খাকা জেলেদের পাঁচমণ শুকটি মাছ,সাতটি মোবাইল, নগদ একলাখ ২৪হাজার টাকা, ১২টি গরু, একটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারিসহ ছয় লাখ ৭৩হাজার টাকার মালামাল ডাকাতেরা লুটে নিয়ে যায়। অভিযান চালিয়ে রবিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চিতলিয়া হাওরের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি খাস জায়গায় ঘাস খাওয়ারত অবস্থায় সেখান থেকে ১১টি গরু উদ্ধার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ধর্মপাশা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.আমিনুর রহমান বাংলা টাইমসকে বলেন, ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া ১২টি গরুর মধ্যে ১১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গরুগুলো থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ডাকাতদের লুটে নিয়ে যাওয়া নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করণ এবং এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।