স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামির মধ্যে দুজনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাদের মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায়। পরে আদালত আসামি মিল্লাত হোসেন মুন্না ও আনোয়ার হোসেনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর আসামি এহসান ওরফে মেঘের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক রহিমা আক্তার তাদের ৩ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বিষয়টি জানান, রোববার রাতে ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের আজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং অপর দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৩ আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
স্থপতি ইমতিয়াজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
৮ মার্চ সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের মরিচা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে স্থপতি ইমতিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর দিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করা হয়। ৯ মার্চ বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়।
১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে গত ২১ মার্চ ওই মরদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।
Leave a Reply