হবিগঞ্জের মাধবপুরে চা বাগান মন্দিরে শিবলিঙ্গ ভেঙ্গে ফেলা ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হবিগঞ্জের মাধবপুরে তেলিয়াপাড়া চা বাগানের সার্বজনীন দুর্গা কালি মন্দিরের এক পাশে বটগাছের নিচে চার দিকে অরক্ষিত অর্ধবেষ্টনী দেয়াল থাকা অষ্টনাগ সম্মিলিত শিবলিঙ্গ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে বলে আলোচনা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে দেখা ও জানা যায়, মন্দিরে সংযোগ সি সি ক্যামেরার লক্ষ ভ্রষ্ট থাকা ক্যামেরাটি নষ্ট বলে ঘটনাস্থলের দিকে ক্যামেরার নজরে নেই।
তবে তেলিয়াপাড়া চা বাগান পঞ্চায়েত খোকন তাঁতী বলেন, সি সি ফুটেজ থেকে দেখা যায় রবিবার ২৬ মার্চ রাত ১২ টা ১১ মিনিটে ধারণ কৃত ফুটেজে ৬ জন লোককে মন্দির এলাকায় প্রবেশ করে এবং রাত ১২ টা ৩২ মিনিটে বের হতে দেখা যায় তবে লোকগুলোকে চিহ্নিত করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও মাধবপুর থানার সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী এবং উপজলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মন্দিরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উৎসব কমিটির সভাপতি নিরোধ তাঁতী বলেন, সোমবার ২৭ মার্চ দুপুরে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করলেও তার কাছে অভিযোগের অনুলিপি দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে অনিহা প্রকাশ করেন কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলতে পারেন না এবং চুপিচুপি কেটে পড়েন।
সোমবার সকাল বেলা মন্দির পুরোহিত পূজা দিতে গিয়ে শিবলিঙ্গ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে সকলকে জানান।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান বলেন, ধর্মীয় উৎসবের জন্য সরকারি ভাবে ওই মন্দিরে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
মাধবপুর সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে তবে থানায় আসামি অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ হয়েছে।
পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ এস এম মুরাদ আলী বলেন, চা বাগানে যাতে ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চিত করা হয়েছে।
Leave a Reply