1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
শ্রীমঙ্গলে সড়কে প্রাণ গেলো সুমনের - বাংলা টাইমস
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১০:২০ অপরাহ্ন

শ্রীমঙ্গলে সড়কে প্রাণ গেলো সুমনের

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গলে রাস্তায় জমে থাকা পানির জন্য সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের। এ ঘটনায় দুর্ঘটনাকৃত কাভার ভ্যানের চেয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও পয়নিস্কাসনের রাস্তা ছাড়া যারা বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন তাদেরই দোষারোপ করছেন স্থানীয় জন সাধারণ।

 

শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, শুক্রবার (২৪মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় শ্রীমঙ্গল শহরতলীর ঢাকা—মৌলভীবাজার সড়কের হোটেল মেরিনার সামনে প্রাণ কোম্পানীর একটি কাভার ভ্যান চাপায় বাইসাইকেল আরোহী সুমন রায় (২৫) মারা যায়। সুমন রায় শ্রীমঙ্গল সন্ধ্যানী আবাসিক এলাকার মৃত রাধাচরণ রায়ের ছেলে।

তিনি জানান, পাশের আবাসিক হোটেল মেরিনাসহ আশে পাশের কিছু প্রতিষ্ঠানের ময়লা পানি রাস্তায় ছাড়া হয়, ফলে সব সময় রাস্তার একপাশ ময়লা পানিতে তলিয়ে থাকে এজায়গায়,এতে যানবাহন গুলো রাস্তার অপর পাশ ঘেষে চলাচল করে। শুক্রবার একইভাবে চলাচল করতে গিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, কভার ভ্যানটি আটক করা হয়েছে এবং লাশ মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল সাদী মহলের মালিক ছায়েদ আলী জানান, বহুদিন ধরে এখানে পানি জমে থাকে। রাস্তার পাশে কোন ড্রেন ব্যবস্থা নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘরের ময়লা পানি সবাই রাস্তায় ছেড়েদেয়। এতে বিপাকে পড়েন পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরাও। তিনি বলেন, এই রোজামাসে আমাদেরকে দিনে কয়েকবার ময়লা পানি স্পর্শ করে শহরে যাওয়া আসা করতে হবে। এর সমাধান হওয়া জরুরী।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো দুদু মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কোন বাজেট নেই সড়ক ও জনপথের এই রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করে দেয়ার।

আর এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় জানান, এটি সড়ক ও জনপথের দায়িত্ব। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে এবং বার বার তাগদা দেয়ার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

অন্যদিকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে বিগত ৮৮ বছর ধরে বর্ধিত হয়নি শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রবীণ ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া বলেন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। কিন্তু এর আয়তন মাত্র এক বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার আশে পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার নগর হয়েছে আরো ২৫/৩০ বছর আগে। পৌরসভা বর্ধিত হলে এ সব এলকার উন্নয়ন পৌরসভার অর্থায়নে হতো। তিনি বলেন, পৌরসভা বর্ধিত হচ্ছেনা কারো ভোটের রাজনীতি কারো টাকার। জনগনের স্বার্থে আর কোন সুমনের প্রাণ হারানোর আগে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা বর্ধিত হওয়া জরুরী।

তবে একাধিক পথচারীরা বলেন, কোন বাসা বাড়ি ও আবাসিক হোটেলের পয়নিস্কাসনের লাইন মহা—সড়কে ছেড়ে দিবে এটা দু:খজনক।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক ও জন পথ নিবার্হী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলেছেন। তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। হোটেল মেরিনা’সহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা পানি ওরা তাদের রাস্তায় ছেড়েদেয়। বিষয়টি তিনি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ড্রেন করতে গেলে বড় বরাদ্দ প্রয়োজন।

বিষয়টি দ্রুত সমাধাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কশন করেছেন এলাকাবাসী।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট