২০১৯ সালের এক ফৌজদারি মানহানির মামলায় রাহুল দোষী সাব্যস্ত হতেই সাংসদ হিসাবে রাহুলের পদ খারিজের কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় লোকসভার সচিবালয়। তবে, রাহুল গান্ধীর আগেও দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সংসদ পদ খোয়া গেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নেতা-নেত্রীরা ছিলেন এই তালিকায়।
২০২৪ লোকসভা ভোট। ২০২৩ সালে রয়েছে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট পর্ব। আর তার আগে, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে রাজধানীর রাজনীতির পারদ তুঙ্গে। ২০১৯ সালের এক ফৌজদারি মানহানির মামলায় রাহুল দোষী সাব্যস্ত হতেই সাংসদ হিসাবে রাহুলের পদ খারিজের কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় লোকসভার সচিবালয়। কোনও জনপ্রতিনিধি ২ বছর বা তার বেশি সময়ের সাজা পেলে পদ খারিজ সংক্রান্ত আইনও সেই বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।
আজম খান: সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের বিধায়ক পদ উত্তর প্রদেশের বিধানসভা খারিজ করা হয়। ২০১৯ সালের এক বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জেরে কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে ৩ বছরের সাজা শোনায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর সেই পদ খারিজ হয়।
অনিল কুমার সাহানি: ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বিহারের আরজেডি বিধায়ক অনিল কুমার সাহানির বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণার মামলা।
জয়ললিতা: এআইএডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জয়ললিতার ২০১৪ সালে তামিলনাড়ু বিধানসভার বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়। বেনামি সম্পত্তি মামলায় তাঁর ৪ বছরের জেলের সাজা কোর্ট ঘোষণা করে, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পর। এরপরই তৎকালীন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে প্রশাসনের নেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় ও বিধায়ক পদ থেকে সরে যেতে হয়।
পি. পি মহম্মদ ফয়জল: লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ পিপি মহম্মদ ফয়জল এক খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ও তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় কোর্ট। এনসিপি নেতা ফয়জলেরও সাংসদ পদ খারিজ হয়।
বিক্রম সিং সাহানি: বিজেপির বিধায়ক বিক্রম সিং সাহানির যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশের বিধায়ক পদ থেকে খারিজ হয়। ২০১৩ সালের মুজাফ্ফরনগর দাঙ্গার মামলায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় কোর্ট। পরে তাঁরা বিধায়ক পদ খারিজ হয়।
প্রদীপ চৌধুরী: ২০২১ সালে হরিয়ানা বিধানসভা থেকে বিধায়ক পদ খারিজ হয় কংগ্রেসের বিধায়ক প্রদীপ চৌধুরীর। এক মারধরের ঘটনায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা পান।
কুলদীপ সেনগার: হাইভোল্টেজ এক মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন কুলদীপ সেনগার। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল ও তিনি দোষী প্রমাণিত হন। এরপরই বিজেপির এই বিধায়কের যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশে ২০২০ সালে বিধানসভার বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়।
আবদুল্লাহ আজম খান: ১৫ বছর পুরনো এক মামলায় উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবদুল্লা আজম খান ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পান। তারপর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়।
Leave a Reply