নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সক্রিয় সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জেএমবি সদস্য মো. এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্যাহ (৪৫) ও মো. ইউসুফ (৩০)।
এমদাদুল ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার মান্দারী গ্রামের মাওলানা শামছুল হকের পুত্র। ইউসুফ চাঁদপুর জেলার কেচুয়া থানার যোগী চাপড় গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র। এটিইউ পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত এমদাদুল হক ১৭ বছর যাবৎ ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। সে ওয়ারেন্টভূক্ত একজন আসামি।
পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বাসসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ’র একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী জেলার সদর থানার সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে এমদাদুল হককে এবং কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাহিচাইল বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে ইউসুফকে আটক করে।
তিনি জানান, এমদাদুল হক ও তার অন্যান্য সহযোগিরা একত্রিত হয়ে বোমা তৈরী করে বরিশাল শহরে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। ভয়-ভীতি প্রদর্শন, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালী থানায় পেনাল কোড আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এমদাদুল হক মামলা দায়েরের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। সে ওমরা ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবস্থান করে এবং বেআইনি অবস্থানের দায়ে জেল খেটে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়ায়। সে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে জঙ্গিবাদের বিস্তার এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
এটিইউ পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ইউসুফ ও তার একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফেইক আইডি ব্যবহার করে ব্রিটিশ নাগরিক পরিচয়ে উপহার ও পাউন্ড পাঠানোর প্রস্তব দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিশেষ করে নারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একজন ভুক্তভোগী নারীর ডিএমপির কাফরুল থানায় দায়েরকৃত মামলার অবৈধ ই-ট্রানজেকশন তদন্ত করতে গিয়ে ইউসুফকে শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ বলছে, ইউসুফ এই ভুক্তভোগী নারীকে উপহারের পার্সেল এবং ৫০ হাজার পাউন্ড গ্রহণের প্রলোভন দেখিয়ে ৪ ধাপে দশ লাখ ছয় হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা হাতিয়ে নেয়।
Leave a Reply