রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির ধসে পড়া ঠেকাতে কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কলামে স্টিলের পাইপ দিয়ে ঠেকা দেয়া হয়েছে। ভবনটির সামনের অংশের ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোর পাশে ওই পাইপগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৫টি স্টিলের পাইপ দিয়ে কলামগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। নিচতলার মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ওই পাইপ দেয়া হয়েছে। একেকটি পাইপের আয়তন ৬ ইঞ্চি। আর লম্বায় ২০ ফুট। প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে পাইপ বসানো হয়েছে। পাইপগুলোকে মাইল্ড স্টিল বা এমএস পাইপ বলে।
রাজউকের কর্মকর্তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরের দিকের কলামেও ঠিকা দেওয়া হবে। তবে ভেতরে গিয়ে কাজ করার অনুমতি এখনো মেলেনি। তাই আপাতত বাইরের দিকের কলামে শুধু সাপোর্ট দেয়ার কাজটি করা হয়েছে।
এদিকে, ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ করেছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভবন মালিক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে এবং অনুমতি ছাড়াই ওই ভবনের বেজমেন্টে স্যানিটারির শো-রুম ভাড়া দিয়েছেন। সেখানে ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বেশ কিছু বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার রাতে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিক বাজারের নর্থসাউথ রোডে অবস্থিত একটি সাততলা ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ৭ তলা ভবনের পাশে আরেকটি ৫ তলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
Leave a Reply