ফরিদপুরের সালথায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ঐ তরুণী।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ইভটিজিং এর শিকার ঐ তরুণী ফরিদপুরের একটি সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছেন।
ঐ তরুণী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে উক্ত রায়মোহন রায় তাকে উৎত্যক্ত করে আসছিল। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বিরক্তের এক পর্যায়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে সে ফরিদপুরের একটি সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার পরও রায়মোহন রায় তাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতো। এমনকি উক্ত তরুণীকে তুলে আনার হুমকিও প্রদান করেন। তাকে একাধিকবার নিষেধ করলেও সে থেমে থাকেনি।
তরুণী সম্পূর্ণ ঘটনা পরিবারকে ঘটনা খুলে বললে তার পরিবার শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় এক বাড়ীতে দুই পরিবার এক সাথে বসে সমাধান করার লক্ষ্যে বসলে আলোচনার এক পর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে রায়মোহন রায়সহ তার সমর্থকরা মারধর শুরু করে বলে ঐ তরুণীর পরিবার জানায়।
ঘটনায় ঐ তরুণীর পিতা, চাচা ও চাচাতো ভাই আহত হয়। বর্তমানে তারা ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে ঐ তরুণী ও তার পরিবার জানান। এ ঘটনার পর ভীত ও অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় মহনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, আমরা একটি সংবাদ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply