১৭ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ভুগছে কিডনি রোগে। আর প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হচ্ছে, ঘটছে মৃত্যুও। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় ৯০ শতাংশ রোগী মারা যায় বিনা চিকিৎসায়।
ইউনাইটেড স্টেটস রেনাল ডাটা সিস্টেমের তথ্যমতে, দেশে ২০১০ সালের চেয়ে ২০২০ সালে কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগী বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে শুধুমাত্র ২০২০ সালে কিডনি রোগে মৃত্যু হয় ১০ হাজার ৮শ ৪১ জনের।
বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ নীরব ঘাতক। উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা,ভেজাল খাবার, ব্যথানাশক ওষধ সেবনসহ নানা কারণে বাড়ছে কিডনি রোগী। প্রতিবছর দেশে কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হলেও আছে সচেতনতার অভাব।
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ জানান, চল্লিশোর্ধ্বদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশ্বে প্রতি ১০ জনের ১ জন দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগে ভুগছে, দেশেও সত্তরোর্ধ্ব প্রতি ১০ জনের ৫ জনই ভুগছে জটিল কিডনি রোগে।
ব্যয়বহুল কিডনি রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের ওপর জোড় দেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
Leave a Reply