চাঞ্চল্যকর শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড-সহ গত কয়েক মাসে লিভ-ইন সম্পর্ককে কেন্দ্র করে একাধিক অপরাধের ঘটনা সামনে এসেছে। সবক্ষেত্রে খুনের কথা ঘটনা না ঘটলেও পুরুষসঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। উলটো অভিযোগও দেখা গেছে। এ অবস্থায় বিয়ের মতোই লিভ-ইন সম্পর্কেও রেজিস্ট্রেশন হোক, নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশিকা তৈরি হোক। এমন আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন মমতা রানি নামে এক আইনজীবী।
বিয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় সেই বিয়েকে আইনত বৈধ বলে ধরা হয় না। এবার কী লিভ-ইনের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক হবে? শীর্ষ আদালতে নতুন জনস্বার্থ মামলার পর সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আবেদনকারী আইনজীবী মমতা রানি দাবি করেছেন, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা না থাকাতেই হত্যা এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে। যা প্রতিরোধে লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশন বড় ভূমিকা নিতে পারে। পিআইএল-এ শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড-সহ একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে যুক্তি সাজিয়েছেন ওই আইনজীবী।
লিভ-ইন সম্পর্ক রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কী কী জরুরি বিষয় থাকা উচিত তাও উল্লেখ করেছেন আবেদনকারী। মমতার মতে যুগলের পারিবারিক ইতিহাস, বৈবাহিক অবস্থা, আর্থিক ক্ষমতা, অপরাধের ইতিহাস আছে কি না ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। এর ফলে সরকারের কাছে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের তথ্য ভাণ্ডার থাকবে। যা তাঁদের জীবনকে সুরক্ষিত করবে।
মহিলাদের মতোই লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা পুরুষরাও অনেক সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হন। ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। শীর্ষ আদালতে শুনানি চলাকালীন এই তথ্যও দেন জনস্বার্থ মামলা করা আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, সরকারের কাছে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের তথ্য থাকলে দ্রুত অভিযোগের সত্যতা যাচাই সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে কে কার সঙ্গে লিভ-ইন করছেন সেটুকু জানতেও সময় লেগে যায়।
Leave a Reply