1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
সংসদ নির্বাচন/ চৌদ্দগ্রামে আ' লীগের প্রার্থী হচ্ছেন নাসের চৌধুরী - বাংলা টাইমস
রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

সংসদ নির্বাচন/ চৌদ্দগ্রামে আ’ লীগের প্রার্থী হচ্ছেন নাসের চৌধুরী

বিশেষ প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৫৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এ বছরের ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচন ঘিরে সরব হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। সরকার দলীয় সাংসদদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণেই হাতছাড়া হতে পারে শতাধিক এমপির আসন। আর সেসব আসনে নতুন প্রার্থী দেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

 

তবে এর ব্যতিক্রম নয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা-১) আসনটিও। এরমই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাম ভেসে বেড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। নৌকার মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে নেতা কর্মীরা যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি দলের শক্ত প্রার্থী। জনপ্রিয়তা ও প্রচারে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ আসনে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর বিকল্প নেই। বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন।

অপরদিকে, চৌদ্দগ্রাম আসনের বর্তমান সাংসদ ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্ঠি হয়েছে। এমপি মুজিবুল হকের নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং ক্লিন ইমেজের অধিকারী কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর নামও স্থানীয়দের মুখে মুখে। চৌদ্দগ্রামকে সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। মিষ্টভাষী এই নেতা অল্প সময়েই রাজনৈতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, চৌদ্দগ্রামে আগামী দিনের নেতৃত্ব থাকবে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর হাতেই।

গত বছরের ২৭ জুলাই রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চৌদ্দগ্রামের ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ জালাল মজুমদার বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও সেখানকার এমপি মুজিবুল হকের নির্দেশে ইউপি অফিসে পাঁচ মাস ধরে তালা ঝুঁলিয়ে দেয় তার অনুসারীরা। গত বছরের ডিসেম্বরে ইউপি নির্বাচনের পূর্বে এলাকার সংসদ সদস্য আমাকে ফোনে নির্দেশ দেন আমি যেন আমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এমপি সাহেবের ভাতিজা তোফায়েলসহ পরিবারের সদস্যদের পছন্দের মেম্বার প্রার্থী মনির হোসেনকে নির্বাচিত করতে সহযোগিতা করি। মনির হোসেনকে নির্বাচিত করতে না পারায় এমপি সাহেব ও উনার ভাতিজারা মিলে যুবদলের ক্যাডার সন্ত্রাসী জুয়েলসহ স্থানীয় কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোককে দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত করার নানা রকম চক্রান্ত ষড়যন্ত্র শুরু করে।

সেময় তিনি আরো বলেন, প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যেতে নিষেধ করে। চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য বার হুমকি প্রদান করতে থাকে, না হয় আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

শাহজালাল বলেন, এলজিএসপির প্রকল্প দাখিলের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা মেতাবেক ওয়ার্ড সভা বাধ্যতামূলক সরকারী নির্দেশনা মেতাবেক তিনি ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি ওয়ার্ড সভার তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করলে তাকে কোন ওয়ার্ড সভা করতে দেবে না বলে ঘোষনা দেয় তারা। ১৫ ফেব্রুয়ারী যুবদল ক্যাডার বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সন্ত্রাসী জুয়েলের নেতৃত্বে স্থানীয় এমপির (মুজিবুল হক) ভাতিজা ইউসুফ, আহসান, খোকন ও পরিবারের সদস্যরাসহ ৩৫/৪০জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে, চেয়ারম্যান কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। যা এখনো পর্যন্ত তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ওই দিন আমি ইউনিয়ন পরিষদের ছিলাম না। যে কারণে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। ঘটনাস্থলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

এরপর দু’মাস পর তার ওপর আবারো হামলা ও তার ব্যবহৃত ভাড়া করা প্রাইভেট কার ভাংচুর করে জানিয়ে শাহজালাল বলেন, এমন পরিস্থিতে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে না পেরে আমার বাড়িতে এবং বিভিন্নস্থানে বসে পরিষদের দৈনন্দিন কাজ এবং মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছিলাম।

তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই বেলা ৩টার সময় আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষ বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় নালঘর বাজারে পৌঁছলে হঠাৎ এমপির আশির্বাদপুষ্ট যুবদল ক্যাডার মোস্তফা মনিরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার পের হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী জুয়েল আমাকে গুলি করার নির্দেশ দিতে থাকে। যখন একের পর এক গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গতে শুরু করে আমি বাঁচার তাগিদে আত্মচিৎকার করতে থাকি এবং তাৎক্ষনিক গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী সামাদ মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নেই। এ সময় সন্ত্রাসীরা গাড়ির চালক আমজাদ হোসেনকে বেদম মারধর করে গাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে।

তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিলো দাবি করে এই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এই হামলার পরও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যভস্থা না নিয়ে উল্টো আমাকে ১নম্বর আসামী করে আমার আরো ৫জন কর্মীকে আসামী করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নব্বইয়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে এমপি হন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমেদ। ১৯৯৬ সালে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে যায় এবং এমপি হন মুজিবুল হক। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এমপি হন। পরের দু’দফায় ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন মুজিবুল হক। তার হাত ধরেই জাতীয় পার্টি ও বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি পরিণত হয় আ’লীগের ঘাঁটিতে। ’৯৬ ও ২০০৮ সালে এমপি হওয়ার পর জাতীয় সংসদের হুইপ হন। পরে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। নির্বাচন নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট