ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ‘কবিতার গান’ শীর্ষক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব। এবারের উৎসবের স্লোগান ছিল ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’।
শেষ দিনে উল্লেখযোগ্য পর্বের মধ্যে ছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা শীর্ষক সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনিসুল হক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আখতার হুসেন, রফিকুল্লাহ খান, আমীরুল ইসলাম।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩ঃ৩০ পর্যন্ত Poetry and Peace শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফখরুল আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং ভারত, নেপাল, অষ্ট্রিয়া ও ইরানের আমন্ত্রিত কবিবৃন্দ।
এর আগে গত ১ ফে্ব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরসংলগ্ন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে সকল ১০টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী। উৎসবের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় কবিতা পরিষদ। জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, একুশের গান ও উৎসব সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।
এবারের উৎসবে ভারত, নেপাল, অস্ট্রিয়া ও ইরান থেকে আমন্ত্রিত কবিরা অংশ নিচ্ছেন। ভারত থেকে অংশ নিয়েছেন কবি অরুণ কমল, কবি হেমন্ত দিভতে, কবি মৃদুল দাশগুপ্ত, কবি বিথী চট্টোপাধ্যায়, কবি কাজল চক্রবর্তী, কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য, আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র, কবি অনুভম তুলসি, কবি রাতুল দেব বর্মন, নেপাল থেকে অংশ নিয়েছেন কবি ইন্দু থারু, অস্ট্রিয়া থেকে অংশ নিয়েছেন কবি ওয়ালি রি, ইরান থেকে অংশ নিয়েছেন কবি মাজিদ পুইয়ান।
এদিকে এদিন বিকেলে জাতীয় কবিতা পরিষদের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে পুনরায় সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তারিক সুজাত। কবিতা উৎসব মঞ্চ থেকে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply