ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা অলি মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরফিন আহমেদ হ্যাপির আদালতে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন।এর আগে বুধবার সকালে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন- আসামিরা হলেন- উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫৪) ও তাঁর প্রধান সহকারী একই এলাকার মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নৈমুদ্দিন। (৩৮)।
নিহত অলি মিয়া ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নূরে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বাংলা টাইমসকে বলেন,গত রোববার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়ার মুখের টেঁটা মেরে হত্যা করা হয়। হত্যার পর অভিযুক্ত ইকবালসহ তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি ও পুলিশের একটি টিম সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ইকবাল হোসেন ও নৈমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরফিন আহমেদ হ্যাপির আদালতে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ওসি আরও বলেন, ‘ইকবাল একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ অন্তত ১০টি মামলা চলমান রয়েছে।’
Leave a Reply