1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
তারেক-জোবাইদাকে হাজির হতে গেজেট - বাংলা টাইমস
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

তারেক-জোবাইদাকে হাজির হতে গেজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

 

গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আসামি তারেক ও জোবাইদার কোনো মালপত্র পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৫ জানুয়ারি আদালত গ্রেপ্তার পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৯ জানুয়ারি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন।

একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট