কুমিল্লার তিতাসের আলোচিত যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জহির (৩৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আহমদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন কুমিল্লা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ৬সপ্তারের জামিন শেষে রোববার (২২ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানীয়ন্তে আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি এসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. আবদুল আলিম। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১০জন আসামী কারাগারে রয়েছেন।
নিহত জহিরুল ইসলাম ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিকালে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে মাছের প্রজেক্ট ও মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ ও একই গ্রামের সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মানিককান্দি গ্রামের একটি মাছের প্রজেক্ট নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলে আসছিলো সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ ও একই গ্রামের সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে। এরই জেরে গেলো বছরের ৬ডিসেম্বর বিকালে ওই প্রজক্টে মাছ ধরা নিয়ে উভয় গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই খবর পেয়ে ৪০/৫০জন নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ ও বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে যুবলীগের সহ-সভাপতি জহিরকে ডেকে নেন এবং তিতাস থানা পুলিশকেও খবর দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও বাবুল চেয়ারম্যানের সামনে থেকে সাইফুল মেম্বার ও তার ছেলেসহ সন্ত্রাসীরা জহিরকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
মামলার বাদী নিহতের ভাই এসহাক মোল্লা বলেন, বাবুল চেয়ারম্যান ও সাইফুল মেম্বার আমার বড় ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। মামলার ৪৩ জন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী সাইফুল মেম্বারসহ ১০ জন জেল হাজতে আছে ও ২৬ জন উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছে এবং ৭জন পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply