কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ায় শঙ্কা ছিল নেইমারকে ঘিরে। তার অভাব গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলোতে বেশ ভালভাবেই বোঝা গিয়েছিল ব্রাজিল শিবিরে। সব শঙ্কা দূর করে মাঠে ফিরেন ব্রাজিলের পোষ্টারবয় নেইমার। তাতেই বদলে যায় দলের চেহারা। ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটেই প্রথম গোল করে ব্রাজিল। সপ্তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ১২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। পরে রিচার্লিসন ও পাকেতার গোলে ৪-০তে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের জালে দক্ষিণ কোরিয়া একবার বল পাঠায়। এরপর আর কোন গোলের দেখা মেলেনি। এর ফলে ৪-১ গোলে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় দক্ষিণ কোরিয়ার।
ম্যাচের ১১তম মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিচার্লিসন। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি নেইমার। স্পট কিক থেকে সহজের বল জালে জড়ান তিনি। এরপর ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন রিচার্লিসন। শুরুতে ভিনিসিউস, পরে একে একে গোল পেলেন নেইমার, রিচার্লিসন এবং পাকেতা।
কোরিয়ার বিপক্ষে পাঁচ গোল দিয়েছিল ব্রাজিল। সেই দলটির বিপক্ষে এবার মুখোমুখি বিশ্বকাপের মঞ্চে। গেল জুনের ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল ব্রাজিল, আজ যেন শুরু করল সেখান থেকেই। দলে ফিরেছিলেন নেইমার, সেটা যেন বাড়তি প্রেরণা হয়েই এলো। প্রথম মিনিট থেকেই নেইমার, ভিনিসিউস, রাফিনিয়া আর রিচার্লিসনরা নিজেদের জায়গা অদলবদল করে ভাঙছেন কোরিয়ান রক্ষণ।
নেইমারের ঠাণ্ডা মাথায় নেয়া পেনাল্টিটা ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম সিয়াং-গুইয়ের। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই গোল পেলেন নেইমার।
গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে রিচার্লিসনের দুই গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। শেষ ষোলোর ম্যাচে আবারও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন। কোরিয়ার রক্ষণদুর্গ ভেঙে তার দারুণ এক গোলে ৩৫ মিনিটে ব্রাজিল ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়।
এক হালি পূর্ণ করতে ব্রাজিলের সময় লাগল মাত্র ৩৫ মিনিট। কোরিয়ার জালে চতুর্থ গোল করলেন লুকাস পাকেতা। কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ ফুটবলে কোরিয়ার জালে চতুর্থ গোল করতে একটুও বেগ পেতে হয়নি। ভিনিসিউসের ক্রস থেকে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ডান পায়ে জোড়ালে শটে রক্ষণ ভাঙেন পাকেতা।
১৯৫৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪ গোল করল ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর এমন নজির আর কোনো দলেরই নেই। সেবার ব্রাজিলের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৪ গোল করেছিল আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন বেকার (গোলরক্ষক), এডার মিলিতাও, থিয়াগো সিলভা, মার্কুইনহোস, দানিলো, ক্যাসেমিরো, নেইমার, পাকুয়েতা, রাফিনহা, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
দক্ষিণ কোরিয়া একাদশ: কিম সিয়াং-গুই (গোলরক্ষক), মুন-হোন, কে-কোন, ইয়ং-গুন, জিন-সু, ও-ইয়ং, হোয়াং-হি-চান, লি-কাং-ইন, লি-জায়-সাং, সন হিউং-মিন, চু গুয়ে-সাং।
Leave a Reply