ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময়শীতল মিয়া (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।এসময় আহত হয়েছেন অন্তত দু’পক্ষের আরো ১৫ থেকে ২০ জন।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর)উপজেলার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা ও মুক্তারামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।নিহত শীতল মিয়া মুক্তারামপুর গ্রামের মৃত কানু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর-ধরাভাঙ্গা সড়কে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপযোগে কাঠ যাচ্ছিল মুক্তারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার সমিলে।পথিমধ্যে জিপি নামে ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিম মিয়া। বিষয়টি নিয়ে কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে রহিম মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।বিষয়টি স্থানীয়রা সমাধান করে দেন।এর জেরে আজ শনিবার ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের বৃদ্ধ শীতল মিয়া অটোরিকশাযোগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ারে সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বাংলা টাইমসকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বাংলা টাইমসকে বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।ময়নাতদন্তের জন্য শীতল মিয়ার লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
Leave a Reply