মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মসজিদে ঢুকে মুসল্লির উপর হামলার ঘটনায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত হোসেন জিবানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জেবা বেগম। মসজিদে স্বামীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছেন দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী হামলার শিকার আহত আব্দুল জলিল ফুলুর স্ত্রী জেবা বেগম। মামলা তুলে নিতে আসামীরা অনবরত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন। হুমকি দিয়ে উল্টো আসামী পক্ষরা ১১ সেপ্টেম্বর কোর্টে মামলা ও করেছেন এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী জেবা বেগম জানান,বিবাদীরা প্রকাশ্যে বলেছে মামলা তুলে না নিলে আমার স্বামীকে জেলের ভাত খাওয়াবে।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সি.আর-২৬০/২২ নং মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালতলী প্রচীন জামে মসজিদে গত ২৯ জুলাই জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে গ্রামের দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ফুলুকে পূর্ব শত্রুতার জেরে গ্রামের মৃত মরম উদ্দিনের ছেলে শাহীন আহমদ ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইবাদত হোসেন জীবান গালি গালাজ শুরু করে। বাধা দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে তারা মসজিদের গেট বন্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল জলিল ফুলুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। শাহীন আহমদ, ইবাদত হোসেন জীবান, এপলু আহমদ, লাভলু আহমদ, জাহান আহমদ, নাবিল আহমদ, মারুফ আহমদ, তজই আহমদ, ছালু আহমদ, সেমুন আহমদ প্রমুখ সঙ্গবদ্ধভাবে ফুলু মিয়ার মাথা, মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপযুর্পুরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তাকে বাচাতে মুছল্লিরা এগিয়ে গেলে আসামীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। এসময় আসামীরা আহত আব্দুল জলিল ফুলুর পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মসজিদের ফ্লোরে ফেলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মুছল্লিরা তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরেন।
এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত দুবাই প্রবাসী আব্দুল জলিল ফুলুর স্ত্রী জেবা বেগম প্রতিপক্ষের ৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বড়লেখা পর্যটন পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জেবা বেগম অভিযোগ করেন, স্বামীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। মামলা দেওয়ার পর থেকেই আসামীরা নানাভাবে তাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে বলেছে মামলা না তুললে আমি, আমার স্বামী ও মামলার সকল স্বাক্ষীকে আসামী করে পাল্টা মামলা করবে। আমাদের সবাইকে জেলের ভাত খাইয়েই ছাড়বে। তাদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
Leave a Reply