ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেছে বিয়নগর থানার পুলিশ। মাহবুবের বিরুদ্ধে তার ভাবি রেহেনা আক্তারের দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় শনিবার (৩সেপ্টেম্বর)দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ রাজু আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত এস.এম মাহবুব বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট মাহবুবের বড় ভাই সৌদি আরব প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী রেহানা আক্তার মাহবুবের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রেহানা তাঁর স্বামী জাকির হোসেন, দেবর এস.এম মাহবুব, দেবর মোস্তফা হোসাইন, শ্বাশুড়ি নুরানী বেগমসহ ছয়জনকে আসামি করেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেন সৌদি আরবে চলে যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী রেহানা আক্তারের উপর মাহবুব ও তাঁর পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। রেহানাকে শ্বশুর বাড়ির কোনো ঘরে থাকতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে রেহানা বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা এনে শ্বশুর বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাহবুব ও তাঁর কাতার প্রবাসী ছোট ভাই মোস্তফা হোসাইন সেই ঘর দখল করে নেন। ২০২০ সালের ১ আগস্ট তাঁরা রেহানা আক্তার ও তার পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় ৪ আগস্ট রেহানা আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা করলে ৬ নভেম্বর মাহবুবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরে তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৫ মার্চ মাহবুব হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২-এ হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় কিছুদিন কারাভোগ শেষে মাহবুব জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ রাজু আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বাংলা টাইমসকে বলেন, ভাবীর করা নারী নির্যাতনের মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন,আজ (রোববার) গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় হয়েছে।
Leave a Reply