অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। ‘২০২৪-এ ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি’, চ্যালেঞ্জ মমতার। ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই বাংলায় বিজেপি জিতবে’, দাবি মিঠুনের। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, মোদি জমানায় সরকারি চাকরি মাত্র ৭ লক্ষের। ইডির ক্ষমতায় সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের। জিএসটি প্রত্যাহারের সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ তৃণমূলের। আইসিসি ক্রিকেট কমিটিতে এবার ভিভিএস লক্ষ্মণ।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েও বিপুল অঙ্কের টাকার সন্ধান পেল ইডি। টাকার অঙ্ক জানতে, গণনার কাজে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ডাক দিয়েছে ইডি। এদিন ধৃতের সম্পত্তির খোঁজে কলকাতা জুড়ে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। বালিগঞ্জ, কসবা এবং বেলঘরিয়ার রথতলার পাশাপাশি বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় অর্পিতার পৈতৃক বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। এমনকী তাঁদের নজরে রয়েছে পৈলানের ঝাঁজরা ভিলেজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের বাগানবাড়িটিও।
কসবার রাজডাঙায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার যৌথ সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে। সেখানে একটি সংস্থাও চালাতেন অর্পিতা। এদিন ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টে’র অফিসেও হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। ৮ নম্বর ইস্ট বালিগঞ্জ প্লেসে মনোজ জৈন নামে জনৈক এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটেও এদিন তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, মনোজ দিল্লির বাসিন্দা। তবে তাঁর ফ্ল্যাটে কেন হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পার্থ এবং অর্পিতার সঙ্গে মনোজের সম্পর্ক ছিল কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাটকে মিনি ব্যাংকের মতোই ব্যবহার করতেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ইডির প্রশ্নের মুখে অর্পিতা এমনটা জানিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। তাঁর বক্তব্যের সারবত্তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরপাড়ায় এক কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ২০২৪-এ বিজেপি কোনওভাবেই ক্ষমতায় আসবে না। এদিন পার্থ ইস্যুতেও একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাজ করলে ভুল হতেই পারে। কেউ যদি ভুল করে থাকে, তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। কিন্তু এখানে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কোনও কিছু হওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যম অনেক কিছু দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিচারক কিছু বলার আগেই মিডিয়া সবাইকে চোর বানিয়ে দিচ্ছে।” ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের পরদিনই কেন এই অভিযান হল, সেই প্রশ্ন তুলতেও ছাড়েননি নেত্রী।
এরপরেই বিজেপি ও তদন্তকারী সংস্থাকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “দেশটাকে লুটেরায় পরিণত করেছে। কিছু হলেই কোর্টে কেস। তিনটে চারটে এজেন্সি দিয়ে সরকারকে জব্দ করা ছাড়া কোনও কাজ নেই। কিন্তু বাংলা ভাঙতে দেব না।” পাশপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে রাজ্যে জোয়ার এলেও, শিল্প টানার ক্ষেত্রে যে কিছুটা খামতি থেকে গিয়েছে তা এদিন স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিল্প উন্নয়নে রাজ্যের অবস্থানও তুলে ধরেন। পাশাপাশি হিন্দুস্তান মোটরসের প্রায় ৭০০ একর জমি আইনি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণের কথা এদিনই ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Leave a Reply