1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
'মামলা হলেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার নয়' - বাংলা টাইমস
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

‘মামলা হলেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ১৫৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। শনিবার (২১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মামলাজট নিরসনে জিপি ও পিপিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, আগে দেখবেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আদৌ মামলা হয় কি-না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন। এরপর আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ, তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করে ফেলতে হবে, এটা সমর্থনযোগ্য নয়।

মামলার জট কমিয়ে আনতে সময় চেয়ে আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আগে বলা হত সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। আমি তো শুনে শুনে বড় হয়েছি। এই জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে।

মন্ত্রী বলেন, মামলা জট এখন কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মামলা জটের সমস্যা আছে। আমাদের এখানে ৪০ লাখের মত মামলা আছে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় মামলার এই জট কিন্তু তত বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্য আইন যুগপোযোগী করা হচ্ছে। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারা বাতিল করা হচ্ছে। এই আইনের ১৪৬ ধারার ৩ উপধারা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংযোজন করে দিয়ে গিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। যেখানে বঙ্গবন্ধু এটা সংযোজন করে দিয়ে গেছেন, সেখানে তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন কি করতে পারে, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়? না, এটা করতে পারে না এবং আমরা সেটা করিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু অপব্যবহার এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি, তা তো নয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট করেছিলেন। এটা করেছিলেন একটা বিশেষ কারণে। তখন মানুষ খাদ্য মজুদ করত, স্মাগলিং করত। তখন প্রচলিত কাস্টমস আইনের স্মাগলিং ১৫৬ ধারা দিয়ে এই অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছিল না। স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্টের সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার হয়েছে ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট