বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েও আতঙ্কিত রোগীরা বাধ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা নিতে। রয়েছে এসব কেন্দ্রে জনবল সংকট।
উপজেলায় খাউলিয়া ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩৯ বছর পূর্বে ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি । দীর্ঘ এক যুগ ধরে এ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। ভবন নির্মাণের মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ছাদের সংষ্কার করা হলেও সামান্ন বৃষ্টিতেই ছাদ থেকে পানি পড়ে। ছাদে জন্মেছে আগাছা । প্রতিটি কক্ষ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। বাথরুমের দরজা-জানালা জরাজীর্ণ এবং ব্যবহারে অনুপযোগী।
এ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী একটি ভবন গত বছর সংস্কার করা হলেও এখনও পর্যন্ত তা হস্তান্তর করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ কেন্দ্রে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ শূণ্য রয়েছে ২০০৮ সাল থেকে । বর্তমানে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডেপুটেশনে রয়েছেন মো. আসলাম হোসেন। এ কেন্দ্রে কর্মরত অন্যরাও অফিস করছেন অনিয়মিত।
স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোঁড় গোঁড়ায় পৌছে দিতে প্রতি ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছে এসব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। কিন্তু কম বেশি ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রেই চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। রয়েছে জনবল সংকট।
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা একাধিক রোগী বলেন, চিকিৎসা নিতে এ কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয় ভয়ে ভয়ে। কখন মাথার উপর পলেস্তরা ধসে পরে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. দিলদার হোসেন বাংলা টাইমসকে বলেন, খাউলিয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পাশের একটি ভবন সংস্কার করা হলেও হস্তান্তর হয়নি। হস্তান্তার হলেই ওই ভবনে চলবে সেবা কার্যক্রম।
Leave a Reply