মাদক মামলায় গ্রেফতারের পর একাধিক শর্তে বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। এরমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য শর্ত হল, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অর্থাৎ এনসিবি যখনই তদন্তের সাপেক্ষে আরিয়ানকে ডেকে পাঠাবে, তখনই হাজিরা দিতে হবে তাকে।
তবে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর, রবিবার (৭ নভেম্বর) এনসিবির স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম-এর ডাক পেয়েও, হাজিরা দেননি আরিয়ান। কারণ করোনা আক্রান্তের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে তার। সে কারণেই বাড়ি থেকে বেরোতে রাজি হননি তিনি।
শনিবারই এই মাদক মামলার দায়িত্ব পেয়েছেন ডিডিজি এনসিবি সঞ্জয় সিং। জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে সরানোর পরই এই দায়িত্ব এসেছে সঞ্জয় সিংয়ের কাছে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত চলছে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধারের মামলায় রবিবার শাহরুখ-পুত্রকে ডেকে পাঠিয়েছিল এনসিবি।
সূত্রের খবর, আরিয়ানের তরফে তদন্তকারী সংস্থার কাছে একটি অন্য দিন চাওয়া হয়েছে। আরিয়ানের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে সে বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে এনসিবি। শুক্রবারই এনসিবি অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন আরিয়ান খান। ফের রবিবার তাঁকে এনসিবি সিট ডেকে পাঠিয়েছিল।
শুক্রবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্যালার্ড এস্টেটে এনসিবির অফিসে গিয়েছিলেন আরিয়ান। ২৩ বছরের আরিয়ান শুক্রবার হাজিরা দিতে যান ১২.১৫ মিনিটে। মুম্বইয়ের ওই প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধারের ঘটনাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিলেন আরিয়ানকে। প্রায় ২৬ দিন আর্থার রোড জেলে ছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আগে নিম্ন আদালতে দু’বার তাঁর জামিন নামঞ্জুর হয়েছিল। ড্রাগ সেবন ও কেনাবেচার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। এনসিবি অফিসের বাইরে তারকা পুত্রকে দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। হলুদ জ্যাকেট ও মাস্কে ঢাকা ছিল আরিয়ানের মুখ। চোখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়ে যায় আরিয়ানের এদিনের ছবি। শাহরুখ খানের বডিগার্ড রবি সিং গিয়েছিলেন আরিয়ানের সঙ্গে।
গত ২৮ অক্টোবরই বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন আরিয়ান। কিন্তু বাড়ি ফিরতে পারেন তার ২ দিন পর। ১ লক্ষ টাকার বন্ডে আরিয়ান খানের জামিনদার হয়েছিলেন শাহরুখের বন্ধু-আইপিএল দলের পার্টনার এবং অভিনেত্রী জুহি চাওলা। ছেলেকে জেলেকে আনতে পৌঁছে গিয়েছিলেন শাহরুখও। কিন্তু সময় মতো বিশেষ আদালতে পৌঁছল না আরিয়ানের জামিনের নথি। সঙ্গে আর্থার রোড জেল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে কাউকেই জামিনে বের হতে দেওয়ার নিয়ম নেই। যার জেরে সেই রাতটাও জেলেই কাটে আরিয়ানের।
Leave a Reply