শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মুকুলকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। জবাইকৃত একটি মুরগী ও দাফন-কাফনের পুরো সরঞ্জামসহ সাথে চিরকুট লিখে এমন হুশিয়ারি দিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তি। শনিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোন এক সময় বাড়ির বারান্দায় ফেলে যায় এসব।
জানা গেছে, নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মুকুল হোসেন প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে খলিসাকুড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার ভোরে তার বাবা জবেদ আলী ফজরের নামায পড়ার জন্য ঘুম থেকে জাগলে ঘরের বারান্দায় একটি চিরকুটসহ দাফন-কাফনের বেশকিছু সরঞ্জাম দেখতে পান। ওইসব সরঞ্জামের মধ্যে এক সেট কাফনের কাপড়, দুইটি গোলাপ জলের বোতল, আগরবাতির দুইটি প্যাকেট, একটি কেয়া সাবান, জবাই করা একটি মুরগী এবং সাথে একটি চিরকুট ছিল।
চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘এই মুকুল, তুই কি তোর বউকে বিধবা করতে চাস ও তোর সন্তানকে এতিম করতে চাস, তোর কি জীবনের মায়া নাই? আমরা তোকে কখন মারব আমরা নিজেও জানি না। তাই তুই তোর বাসা থেকে বের হলে কালেমা পড়ে বের হস। এই মুরগীটা দেখেছিস, মুরগীর মতো করে সাইজ করব। শালা মুকুল, তোর জন্য কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দিলাম, তুই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকিস।’
এদিকে এ ঘটনা সকালেই জানাজানি হয় এবং গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ছুটে আসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও।
এ বিষয়ে মুকুল জানান, আমার সাথে এমন কোন শত্রুতা কারও নেই। কে বা কারা কেন এ কাজ করেছে তা বলতে পারছি না। তবে আমি জীবন নাশের হুমকীতে আছি।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখতে হবে।
Leave a Reply