১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের অপসারণ দাবিতে আবারও উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করে। এরপর রাত ৮টা থেকে আমরণ অনশন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরুর ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা অফিসে ৩ ঘণ্টা বৈঠক চলার পর কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ও রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী মোবাইল ফোনে শাহজাদপুরের কান্দাপাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের বিষয়টি অবহিত করেন। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার সিন্ডিকেট বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ীভাবে বরখাস্তর সিদ্ধান্ত হওয়ার আশা করি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমাদের পরীক্ষার হলে ফিরে যেতে বলেন। আমরা তাদের এ আদেশ গ্রহণ না করে শিক্ষিকা ফারহানার স্থায়ী বরখাস্ত না হওয়া পর্যন্ত আবার আন্দোলন শুরু করেছি।
প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অপমান সইতে না পেরে এক ছাত্র ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মুখে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতিত ছাত্র, প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাক্ষ্য দিলেও শিক্ষিকা ফারহানা তা না দিয়ে ২ সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন। তদন্ত কমিটি প্রথমে তিন দিন,পরে আরো ছয় দিন ও সব শেষে ১৪ দিন সময় দেন। এ সময়ের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর)। এ দিনও তিনি সাক্ষ্য না দিয়ে আবার সময় চাইলে তদন্ত কমিটি তা নাকচ করে দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
Leave a Reply