বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সারা জুড়ে গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ছয় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ কর্মসূচী। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
রাজধানীর শাহবাগে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ বিচার দাবি করা হয়। জড়িতদের বিচার না হওয়ায় সংখ্যালঘুদের হামলা নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি করেন আয়োজকরা।
আশনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। এরপর মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
বেলা ১২টার দিকে মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির এসে অনশনকারীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ‘চল চল ঢাকায় চল’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয় কর্মসূচিতে।
এ ছাড়া আগামী ৪ নভেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব বর্জন করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে নিজ নিজ মন্দিরে নীরবতা পালন এবং মন্দির-মণ্ডপ ফটকে কালো কাপড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টানানোর প্রতিবাদী কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতি, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংরক্ষণ সমিতি, ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ অংশ নেয়।
Leave a Reply