কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখা ইকবাল হোসেনকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া আরও তিনজনকে রিমান্ড মঞ্জুর কে আদোলত। তারা হলেন ফয়সাল, হুমায়ুন ও ইকরাম।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিথিলা জাহান নিপার আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে তোলা হয়।
কোরআন অবমাননার মামলায় ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটক ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর এলাকার মাছ বিক্রেতা নূর আলমের ছেলে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কড়া নিরাপত্তায় ইকবালকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। কক্সবাজারে আটক ব্যক্তিই সিসিটিভি ক্যামেরায় শনাক্ত হওয়া ইকবাল বলে নিশ্চিত করেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে মাইক্রোবাসে দেয় কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় পুলিশ। এরপর কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে ইকবালকে তুলে দেয় কক্সবাজার পুলিশ।
ইকবালকে ধরতে পুলিশকে সহযোগীতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।
Leave a Reply