1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
পূজা উদযাপন পরিষদের ৮ দফা দাবি - বাংলা টাইমস
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

পূজা উদযাপন পরিষদের ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১
  • ৯৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

সারাদেশের ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতনের’ ঘটনায় কঠোর নিন্দা ও গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। একই সাথে ভুক্তোভোগীদের ক্ষতিপূরণ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় ৮টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় সারাদেশের পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যা’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।

 

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রশাসন সময়পোযোগী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং রাজনৈতিক দলসমূহের আপাত নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক মানুষকে সহিংসতার বলি হতে হয়েছে। যারা পরিবারের আপনজনকে হারিয়েছে বা সম্পদ হারিয়েছে তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।

 

সংগঠনের পক্ষ থেতে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি করে সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো- ১. ক্ষতিগ্রস্ত সব মন্দির, বাড়িঘর সরকারি খরচে পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে। গৃহহীনদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২. নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩. দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে বিশেষ ট্রাইবুনালে প্রকৃত দোষীদের বিচারের পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। ৪. সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে এবং তদন্ত কমিশনের প্রকাশিত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. হিন্দু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে তা প্রতিবিধানে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করছি। ৬. ২০০১ সালের সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহের ওপর তদন্ত সম্পর্কিত সাহাবউদ্দিন কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৭. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় নৃগোষ্ঠীর বিষয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি, সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রকৃত স্বত্বাধিকারীর কাছে ফেরত দেওয়া, সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আইনের অবসানসহ ইশতেহারে ঘোষিত অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলোও সরকারের এই মেয়াদে বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮. সংবিধানে বিরাজমান অসংগতি দূর করে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ১৯৭২ এর সংবিধান পূর্ণবাস্তবায়ন করতে হবে।

 

এ সময় আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্যামাপূজা ও দীপাবলী উৎসব নিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ, পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা জয়ন্ত সেন, মহানগরের উদযাপন পরিষদের মহানগর কমিটির সভাপতি শৈলেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর মণ্ডল প্রমুখ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট