বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এখানে ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দা পিঁয়াজের দাম অসহনীয় মাত্রায় বেড়েছে। তবে চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কাচা মরিচসহ শাকসবজি ও অন্যান্য তরি তরকারির দাম।
স্থানীয় বাজারে বেড়েছে মুরগী ও মুরগীর ডিমের দাম। বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজার সহ তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ, শিকদারী, হাটগাঙ্গোপাড়া, মচমইল সহ বেশ কিছু বাজার ঘুর দেখা যায়, সয়াবিন তেল ১৬০, সরিষা তেল ১৮০, পিঁয়াজ ৬০, আদা ১৮০, আটা ৩৫ থেকে ৩৮, ময়দা ২৫, চিনি ৮৫, মসুরডাল ৯০, মুগডাল ১৪০, বুটরে ডাল ৫০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা ও গরুর গোস্ত ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে এসব বাজারে একই পণ্য কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে বিক্রেতারা জানান, দাম বাড়ার আগে যাদের কাছে পণ্য মওজুদ ছিল তারা আগের দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন। আর যারা পরে বেশি দামে পণ্য নিয়েছেন তারা কিছুটা বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করছেন।
ক্রেতা শহিদুল, নাদিরুজ্জামান মিলন, বেলাল উদ্দিনসহ ১০/১২ জন ক্রেতা জানান, টিসিবি তেল চিনি ডালসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের বিক্রির ব্যবস্থা করলে বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া স্থানীয় বাজারে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কোনো মনিটরিং এর ব্যবস্থা ও দোকানে কোনো মূল্য তালিকা নেই বললেই চলে। এসব কারণে অনেক দোকানী ইচ্ছামত দাম আদায় করছেন।
দোকানী সাইদুর রহমান ও মুকুল হোসেন জানান, আগের চেয়ে এখন কিছুটা বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে কিছুটা বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া এই বাজারের হাট গুলোর খাবারের মানও একবারেব নিম্ন। সুযোগ মত তারা পঁচা বাসি খাবার ভালো খাবারের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করতে দ্বিধা করছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান জানান, অচিরেই ভবানীগঞ্জসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এসব অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply