হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী বুধবার (১৩ অক্টোবর)।
বুধবার শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। সকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এক বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারী রূপ চিন্তা করে হিন্দু ধর্মীরা তাকে ‘দেবী’ জ্ঞানে পূজা করবে। প্রথা ও নিরাপত্তার কারণে মেয়েটির নাম এবং পরিচয় পূজা সূচনার পূর্বাবধি প্রকাশ করা হয় না। সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার লক্ষ্য। পাঁচ থেকে সাত বছরের বালিকাকে সাজানো হবে কুমারী মাতৃকারূপে। এ উপলক্ষ্যে রামকৃষ্ণ মিশন ও এর আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কুমারী পূজা। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কুমারী পূজা প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন, সব স্ত্রী লোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে উঠবে পুত-পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন।
১৯০১ সালে ভারতীয় দার্শনিক ও ধর্ম প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্বপ্রথম কলকাতার বেলুড় মঠে নয়জন কুমারী দিয়ে এ পূজার মাধ্যমে এর পুনঃপ্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা হয়ে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়াও নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে।
Leave a Reply