আলোচিত প্রিন্স মুসা বিন শমসের নিজেকে ধনকুবের পরিচয় দিয়ে এলেও, তাকে অন্তঃসারশূন্য রহস্যমানব আখ্যা দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, সুইস ব্যাংকে তার ৮২ বিলিয়ন ডলারের তথ্য স্রেফ গুজব।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে মুসা বিন শমসের, তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী, ছেলে জুবেরী হাজ্জাজ একটি গাড়িতে করে ডিবি কার্যালয়ে আসেন।
ধনকুবের মুসা বিন শমসের তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আব্দুল কাদের তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করেছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন।
তবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (গুলশান) হারুন অর রশীদ বলেন, ভুয়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী আবদুল কাদেরের সাথে যে সম্পর্ক, সে সম্পর্কের দায় উনি (মুসা বিন শমসের) এড়াতে পারবেন না। কারণ ওনার সাথে একটা হৃদ্যতা সম্পর্ক ছিল, যে সম্পর্কের মাধ্যমে কাদের বিভিন্ন মানুষকে ঠকিয়েছে। কাদের ওনাকে বলেছে, তার সাথে পুলিশের আইজির সম্পর্ক ছাড়াও বিভিন্ন বড় বড় মানুষের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ওনার উচিত ছিল পুলিশের কাছে বিষয়টা জিজ্ঞেস করা বা বিভিন্ন ভিআইপিদের নাম ব্যবহার করছে, তাদেরকেও জিজ্ঞাসা করা। কিন্তু উনি কারও কাছে জিজ্ঞাসা করেননি। আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, প্রিন্স মুসা একজন অন্তঃসারশূন্য রহস্যমানব। এতদিন মুসার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের যে তথ্য মানুষ জানতেন তা সম্পূর্ণ গুজব।
অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণায় গ্রেপ্তার আবদুল কাদেরের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার আইন উপদেষ্টা ছিলেন প্রতারক আব্দুল কাদের।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, আব্দুল কাদের চৌধুরীর আসল নাম হলো আব্দুল কাদের মাঝি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি। কিন্তু তিনি প্রতারণামূলকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, নিজেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিজের এক কোটি ২০ লাখ টাকার প্রাডো গাড়িতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে ঢুকতেন সচিবালয়ে।
১৪ বছর ধরে এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আব্দুল কাদের।
Leave a Reply