কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসায় হাসিনা বেগম নামের এক নারীর মুখমন্ডল ঝলসে গেছে। এলাকাবাসী ওই নারী কবিরাজ ছকিনা বেগম এবং তার সহযোগী জাহানারা বেগমকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। আহত নারীকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত নারী ওই গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুন্নবী বুলুর স্ত্রী।
রাশেদুন্নবী বুলু বলেন, হাসিনা বেগম বেশ কিছুদিন থেকে শারীরিকভাবে প্যারালাইজড-এ ছিলেন। অনেক চিকিৎসা করেও লাভ হয়নি। প্রতিবেশী আমিনুরের বাড়িতে চিকিৎসা দিতে কবিরাজ ছকিনা বেগম। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তি নাগেশ্বরী উপজেলার উত্তর ব্যাপারীহাট এলাকায়। ছকিনা বেগম নামের সাথে প্রতিবেশির বাড়িতে পরিচয় হয়। সোমবার (১১ অক্টোবর) ওই নারী কবিরাজ আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করেন। এসময় চিকিৎসা চলাকালীন কবিরাজ কি করেছে জানি না। এতে হাসিনা বেগমের পুরো মুখে ফোসকা উঠেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে মারের দাগ রয়েছে। রোগীর সুস্থ না হলে কবিরাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. এএসএম সায়েম বাংলা টাইমসকে বলেন, হাসিনা বেগমের মুখমন্ডলে অধিকাংশই ঝলসে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাহ্য জাতীয় কোনো পদার্থ ছোঁড়া হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর হোসেন বাংলা টাইমসকে বলেন,এলাকাবাসী এক নারী কবিরাজ ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply