রাজধানীর নিকুঞ্জ’র একটি হোস্টেল থেকে মাহফুজা আক্তার (২৫) নামে এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খিলক্ষেত থানা বাড়ির ৬ষ্ঠ তলা থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত চিকিৎসকের বাড়ি গাজীপুর জেলায়। বাবার নাম নুর আহমেদ খান, তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং মা রওশন আরা গৃহিণী।
খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাবরিনা রহমান মৌরী জানান, খবর পেয়ে হোস্টেলের ৬ষ্ঠ তলার রুমের ভিতর থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভবনটির মালিক এটি হোস্টেল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মাহফুজা আক্তার ওই হোস্টেলের রুমটিতে ভাড়া নেয়। তা
তিনি জানান, শনিবার দুপুরের পরে পাশের রুমমেটরা তাকে রুমের ভেতরে ফোনে অনেক চিল্লাচিল্লি করতে শোনে। এরপর বিকেলে তার রুমের দরজা বন্ধ দেখে আশপাশের রুমমেটরা তাকে ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানালে তখন সবাই মিলে রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। রুমের ভিতর লোহার হ্যাঙ্গারের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে সেই অবস্থা থেকে বিছানায় নামিয়ে রাখে।
এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেছি, তারা ও তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে পারেনি। কেনইবা তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন সে বিষয়ে কোনো ধারণা করতে পারছেন না।
Leave a Reply