কয়লার সঙ্কট তীব্র হল পঞ্জাবে৷ এর ফলে পঞ্জাবের সরকারি সংস্তা পিএসপিএল বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল৷ পিএসপিএল-এর এক কর্তা এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, পঞ্জাবে কয়লার উপরে নির্ভরশীল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে ক্ষমতার তুলনায় উৎপাদন অনেকটাই কমানো হয়েছে৷
পিএসপিএল-এর ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে মাত্র পাঁচ দিন কাজ চালানোর মতো কয়লা মজুত করা রয়েছে৷
এই মুহূর্তে পঞ্জাবে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার মেগা ওয়াট৷ বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কৃষি ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে৷ বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা অল্প সময়ের জন্য লোডশেডিংয়ের কথা বললেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে৷
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতেল চার থেকে পাঁচ দিনের কয়লা মজুত থাকলেও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুিলতে মাত্র দু’ দিনের কয়লা মজুত করা রয়েছে৷ সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথোরিটির গাইডলাইন অনুযায়ী, কয়লা খনির থেকে এক হাজার কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত খনিগুলিতে ন্যূনতম এক মাসের কয়লা মজুত করে রাখার কথা৷ কিন্তু এই মুহূর্তে পঞ্জাবে সেই গাইডলাইন মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না৷ শুক্রবার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কিছুটা কয়লা সরবরাহ করাহয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে পিএসপিএল বিদ্যুৎ কেনার পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে৷ কিন্তু তাতে প্রতি ইউনিট পিছু খরচ ১০ টাকার উপরে চলে যাচ্ছে৷ রাজ্যে কয়লার সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন পিএসপিএল-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ বেণুপ্রসাদ৷
Leave a Reply