প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের হেড অব সেলস (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) অফিসার হুয়ামূন কবির নিরবকে (আরজে নিরব) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে প্রতিষ্ঠানের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, আরজে নিরব কিউকমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এক ভুক্তভোগী মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৩ অক্টোবর কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, রিপন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে- কিউকম প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করে পণ্য অনলাইনে কেনাবেচা করে আসছিল। তাদের নিজস্ব ব্রান্ডিং করার জন্য তারা ব্যাপকভাবে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কিউকম লোভনীয় দামে মোটরসাইকেল বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিল।
বাজারে যে মোটরসাইকেলের দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, সেটি তারা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিত। বিপুল সংখ্যক ক্রেতা অর্ডার করে মোটরসাইকেল না পেয়ে হতাশায় ভোগে। এ ছাড়া রিপন মিয়া গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারির আরও ২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের প্রতারণা আর অফিস বন্ধের পর এক নোটিশে নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করে কিউকম। তারা কাউকে গুলশান নিকেতনের অফিসে যেতেও নিষেধ করে দেয়।
রিপন মিয়ার সঙ্গে ইভ্যালির সিইও রাসেলের যোগসাজশ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যবসার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রাসেলের। মূলত রাসেলের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কিউকম। ধামাকা অফার দিয়ে তিনি শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা। তার কোম্পানিতে টেলিভিশন, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেলের অফার দিত।
Leave a Reply