জামালপুরের বকশিগঞ্জে একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ছামিরন (৬২) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ডুমুরতলায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ছামিরনের বরাদ্দকৃত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নেহালের স্ত্রী নিহত ছামিরন দীর্ঘদিন যাবত আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত ছামিরনের প্রতিবেশী শাহ আলম, মালা ও মনির হোসেনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎই ছামিরনের ঘর থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ আসে। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে দড়জা বন্ধ পাওয়া যায়। অল্প কিছুক্ষন পর ছামিরনের আরা কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়া গেলেও ঘরের ভেতরে অন্য ব্যাক্তির হাটা চলার শব্দ পাওয়া যায়। পরে বাইরে থেকে ঘর আটকে দিয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ১টা ৪০ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ঘরের জানালা দিয়ে পালিয় যায় খুনি। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ছামিরনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছামিরনের মরদেহে তার মাথা, ঘাড়, নিচের ঠোট, ডান ও বাম গালে মারাত্মক জখম পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, নিহত ছামিরনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফুল বাসর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের স্বার্থে ছামিরনকে হত্যার কারন বা হত্যাকারীদের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে খুব দ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply