পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন চরণজিৎ সিং চান্নি । শিখ দলিত সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রী করে বড় চমক দিল কংগ্রেস। কারণ ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের পর সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যাঁরা ফেভারিট ছিলেন, তাঁদের মধ্যে নাম ছিল না চান্নির। অমরিন্দর সিং সরকারে কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন চান্নি৷
পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দিনভর জল্পনা চলছিল৷ আলোচনায় বসেন সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধিও৷ সন্ধেবেলা পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত ট্যুইট করে চান্নির নাম মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন৷
পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘক্ষণ সুখজিন্দর সিং রানধাওয়ার এগিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু আগামী বছর পঞ্জাবে নির্বাচন৷ তার আগে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এমন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিল, দলের ভিতরে যাঁকে নিয়ে খুব বেশি অসন্তোষ তৈরি হবে না৷ আর এই অঙ্কেই শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করেন চান্নি৷ তবে চান্নি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রানধাওয়া৷ তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের নেতৃত্বে আমি খুশি৷ চান্নি আমার ভাইয়ের মতো৷’
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ ভবনে পৌঁছেছেন চান্নি৷ রাজ ভবনে পৌঁছেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুও৷
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আচমকাই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং৷ গত কয়েকমাস ধরে নভজ্যোৎ সিং সিধুর সঙ্গে অমরিন্দর সিংয়ের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছিল৷ সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত শনিবার পঞ্জাবের প্রায় পঞ্চাশ জন কংগ্রেস বিধায়ক সনিয়া গান্ধিকে চিঠি দিয়ে অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান৷ এর পরই সনিয়াকে চিঠি দেন অমরিন্দরও৷ ক্ষোভের সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, কংগ্রেস নেতৃত্ব একাধিকবার তাঁর অপমান করেছে৷
অমরিন্দর সিং নিজে ইস্তফা দিলেও সিধুকে যে কোনওভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নেবেন না, তাও স্পষ্ট করে দেন৷ অমরিন্দর সিধুকে ‘অযোগ্য’ বলেও কটাক্ষ করেন৷ এমন কি, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর তিনি আর কংগ্রেসে থাকবেন কি না, তাও স্পষ্ট করেননি ক্যাপ্টেন৷ যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্জাবে কংগ্রেসের কাছে নতুন মাথাব্যথার কারণ৷
Leave a Reply